সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কুখ্যাত বালি মাফিয়া সুজয় পাল ওরফে কেবু ধৃত। আগ্নেয়াস্ত্র আইন ও অবৈধ তামা পাচারের অভিযোগে ওই কুখ্যাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার দেড় কুইন্টাল তামাও। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িও। মাফিয়ারাজ চলছে দুর্গাপুরে, কটাক্ষ কংগ্রেস ও বিজেপির। অভিযোগ পেলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, এমনই দাবি শাসক দল তৃণমূলের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজয় পাল বেআইনি বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। সরকারি চালান নকল করেও বালি পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর আগেও এই কুখ্যাত গ্রেপ্তার হয়েছিল। অবৈধ বালি কারবারের আগে বন্ধ কারখানা থেকে দেদার লোহা, তামা-সহ দামি যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগ রয়েছে সুজয় পালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত এমএএমসি কারখানা থেকে লুট চালাত কেবুর 'সিন্ডিকেট'। সরকারি বেসরকারি বন্ধ কারখানা থেকে লোহা পাচারের অভিযোগও রয়েছে কেবুর বিরুদ্ধে। এছাড়াও মেয়াদ শেষের পরেও সিটি সেন্টার জুড়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের পার্কিং জোর করে চালানোর অভিযোগও রয়েছে সুজয়ের বিরুদ্ধে। সিটি সেন্টারে একটি হোটেলও রয়েছে সুজয় পালের।
এবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তামা পাচার করতে গিয়ে শনিবার রাতে সে পাকড়াও হয়। দুর্গাপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি চারচাকার গাড়িতে করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তামা পাচার করছিল সুজয় পাল ওরফে কেবু। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার গান্ধী মোড়ের বেসরকারি ল'কলেজের সামনে পুলিশ ওই গাড়ি আটকায়। তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় দেড় কুইন্টাল তামা। এছাড়াও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, "দুর্গাপুরে মাফিয়ারাজ চালু করেছিল। এখন পুলিশ চাপে পড়ে গ্রেপ্তার করেছে।" "তৃণমূলের মদতেই এইসব অপরাধমূলক কাজকর্ম করে সে।" কটাক্ষ করেছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘরুই। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, "বিরোধীদের বিরক্ত করাই কাজ। তবে যেখানেই অন্যায় হচ্ছে সেখানেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।"