নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: বুলবুলের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জের জনজীবন। নেই বিদ্যুৎ, জল। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই ব্যবসা ফেঁদেছেন একদল অসাধু ব্যবসায়ী। বাধ্য হয়েই সেই ফাঁদে পা দিতে হচ্ছে হিঙ্গলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের।
কিন্তু কী সেই ব্যবসা? ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ওই এলাকার প্রায় পাঁচশোরও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। ফলে শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই অন্ধকারে ডুবেছে গ্রাম। ফুরিয়েছে মোবাইলের চার্জ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য মোবাইল অত্যন্ত জরুরি। সেই সুযোগকেই কাজে লাগানো হচ্ছে। জেনারেটর চালিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের মোবাইলে চার্জ দিয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করেছে একদল। জানা গিয়েছে, মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য কোথাও নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। কোথাও আবার গুনতে হচ্ছে ২০ টাকা। নিরুপায় হয়ে মোবাইল চালু রাখতে টাকা খরচ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। টোটো চার্জ দেওয়ার জন্য দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। কতদিনে বিদ্যুৎ আসবে গ্রামে সেই অপেক্ষাতেই গ্রামবাসীরা।
[আরও পড়ুন: বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে নিজে হাতে দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করলেন সাংসদ মিমি]
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল থেকেই রাজ্যে দাপট দেখাতে শুরু করেছিল বুলবুল। নির্ধারিত সময়ের আগেই আছড়ে পড়েছিল রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে। শুক্রবার রাত থেকেই যদিও দক্ষিণবঙ্গের সবক’টি জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রবল বৃষ্টিপাত। তবে শনিবার বেলা গড়াতেই শুরু হল বুলবুলের তাণ্ডব। ঝোড়ো হওয়া, প্রবল বৃষ্টিতে জেরবার হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু অংশ। হাওয়ার দাপটে একের পর এক ভেঙে পড়েছে কাঁচাবাড়ি, গাছ। উপড়ে গিয়েছে কয়েকশো বিদ্যুতের খুঁটি। পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশ তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েইছে, তবে বুলবুলের কোপে পড়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, ঝড়খালি, হেনরিজ আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায়। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবেই।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে বিধ্বস্ত হেনরিজ আইল্যান্ড, বাতিল আগামী পাঁচ মাসের বুকিং]
The post বুলবুলে বিদ্যুৎহীন গ্রাম, মোবাইল চার্জ করিয়ে পকেট ভরাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
