শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ভোটে (Panchayat Election 2023) জিতেই বৃদ্ধার ঘরে আলো জ্বালাল সিপিএম। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এটাই প্রথম পদক্ষেপ বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তার চড় এলাকার ৭ টি বুথের মধ্যে ১টি বুথের পঞ্চায়েতের জয়যুক্ত হয়েছে বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী গোসাই সরকার। গত ৫ বছর এলাকায় ছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষায় খড়ের চাল দিয়ে জল পড়লেও পঞ্চায়েতের কাছে গিয়ে একটা ত্রিপল পাননি কেউ। তিস্তা পাড়ের উত্তর সুকান্ত নগর কলোনী এলাকার মানুষ বর্ষার সময় বেশিরভাগ দিনই জলে-কাদায় জীবনযুদ্ধ চালান। তিস্তার জল সামান্য বাড়লেই এলাকায় ঢুকে পড়ে জল।
রবিবার সন্ধেয় খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেই সুকান্তনগর উত্তর বুথের বছর আশির এক গরিব অসহায় বৃদ্ধার ঘরে আলো জ্বালাল সিপিএম। দীর্ঘ ৪ বছর পর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় ফিরে পেলেন সুফিনা বেওয়া। সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পীযূষ মিশ্র অভিযোগ করেন, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে গরিব মানুষকে ২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই মতো এই পরিবারগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার তা বহাল না রাখায় এই পরিবারগুলিতে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।
[আরও পড়ুন: হিন্দু যুবকের প্রেমে মুসলিম বধূর ভারতে আসার বদলা, পাক মন্দিরে রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা]
সিপিএমের নেতৃত্ব জানায়, স্থানীয়দের দাবি ছিল গরিব মহিলার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হোক। আমরা বলেছিলাম নির্বাচনে জয়ী হয়ে যে কোন উপায়ে এই কাজ করব। সেই মতো স্থানীয়দের কথা মতো বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বকেয়া বিল মিটিয়ে পুনরায় বৃদ্ধার বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। নবনির্বাচিত পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। বৃদ্ধা সুফিনা বেওয়া বলেন, "এর আগেও যেটুকু সাহায্য পেয়েছি সিপিএমের আমলেই। তৃণমূল কিছু দেয়নি। ঘরের আলো পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সিপিএম আরও একবার প্রমাণ করল তারাই গরিবের প্রকৃত বন্ধু।"
