টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: উনিশের লোকসভা ভোটের আগেই দলবদল করেছিলেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়ে সেবার জিতেও যান। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ হন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। আসছে আরও এক লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) এলাকায় সাংসদের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে। তার প্রমাণ মিলল রবিবার বিষ্ণুপুর এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার পড়ার ঘটনায়। তাতে সৌমিত্র খাঁ-কে ‘টিকিট বিক্রির কাণ্ডারি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে সাংসদের অবশ্য দাবি, এসব তৃণমূলের (TMC) কাজ।
রবিবার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে সৌমিত্র খাঁ বিরোধী পোস্টারগুলো নজরে পড়ে। ছাপার অক্ষরে তার কোনওটায় লেখা – ‘বিষ্ণুপুর বিধানসভার টিকিট বিক্রির কাণ্ডারি সৌমিত্র’, কোনওটায় লেখা ‘বিষ্ণুপুর জনগণ বিরোধী সৌমিত্র নিপাত যাক’। পোস্টারের নিচে লেখা ‘বিষ্ণুপুর লোকসভা রাজনৈতিক দূষণ বিরোধী সামাজিক সচেতন জনগণ’। কারা এই জনগণ, সে বিষয়ে কারও কোনও ধারণা হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: সরকারি অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক রাজ্য সঙ্গীত, বাংলা দিবস পালনেরও বিজ্ঞপ্তি নবান্নের]
এই পোস্টার দেখে সৌমিত্র খাঁ-র বক্তব্য, তৃণমূল এই এলাকায় রাজনৈতিক জমি হারিয়ে এসব পোস্টারের রাজনীতি করছে। পরের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫ আসন পাবে বলে দাবি করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। আবার দলের অন্দরের খবর, সৌমিত্র ঘনিষ্ঠরা যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরাই এখন সৌমিত্র বিরোধী হয়ে পোস্টার দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল সমস্ত দায় অস্বীকার করেছে। জেলা নেতৃত্বের পালটা দাবি, গেরুয়া শিবির এখন গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ। আর তারই বহিপ্রকাশ ঘটেছে সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে এসব পোস্টারে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগই নেই।