সুব্রত বিশ্বাস ও দিব্যেন্দু মজুমদার: স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে (Staff sepcial train) সকলকে ওঠার অনুমতি দেওয়া হোক। এই দাবি তুলে রেল অবরোধে নামলেন নিত্যযাত্রীরা। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়া, মগরা স্টেশনে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা অবরোধের জেরে হাওড়া শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতি স্টেশনে আটকে পড়ে ট্রেন। রেললাইনে নেমে অবরোধে বসে পড়েন মহিলা, পুরুষ সকলে। দাবি একটাই, সবাইকে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়তে দিতে হবে। বাড়াতে হবে ট্রেনের সংখ্যা। তাঁদের এই আবেদনে অবশ্য সাড়া দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়ার ডিআরএম আশ্বাস দিয়েছেন, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
সোমবার ঘড়িতে সময় তখন সকাল ৭টা ২০। হুগলির পাণ্ডুয়া (Pandua) স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের বাইরে বিশাল লাইন নিত্যযাত্রীদের। সকলেই দৈনিক টিকিট কেটে ট্রেনে সফর করতে চান। কিন্তু এই মুহূর্তে রাজ্যে কোভিড (COVID-19) বিধি জারি থাকায় শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এভাবে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ার অনুমতি পাচ্ছেন। তাই এত ভিড় দেখে কাউন্টারের রেলকর্মী খানিক অবাক হন। এতজনকে আদৌ টিকিট (Daily Ticket) দেবেন কি না, সেই অনুমতি নেওয়ার জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ জানায়, সবাইকে টিকিট দেওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: রূপনারায়ণ-দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত খানাকুল, দুর্গতদের উদ্ধারে নামল বায়ুসেনা]
কিন্তু তারপরই গন্ডগোল শুরু হয়। টিকিট তো কাটা হল, এবার সকলেই তো স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি পাবেন না। ফলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে রেললাইনে নেমে অবরোধ (Rail Block) করেন। এর জেরে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখার বিভিন্ন স্টেশনে এবং মাঝপথে ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। পাণ্ডুয়ার পর এই বিক্ষোভ শুরু হয় মগরা স্টেশনেও। ভরপুর অফিস টাইমে এই অবরোধের জেরে নাজেহাল হতে হয় গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হওয়া অন্যান্য যাত্রীদের। বিষয়টি পৌঁছয় হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নরুলার কানে। তিনি সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জানান, ”এই মুহূর্তে ২০৪টি ট্রেন চলছে হাওড়া-বর্ধমান শাখায়। ট্রেন আরও বাড়ানো হবে দ্রুত।” এই আশ্বাস পেয়ে সাড়ে ১০টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। একে একে আটকে থাকা ট্রেনগুলি গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়।