শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: শীতকালে শীতল ভ্রমণস্থানে বেড়ানোর মজাই নাকি আলাদা। সোয়েটার, টুপিতে শরীর মুড়ে তুষারপাতে ভেজা কিংবা দূর থেকে শ্বেতশুভ্র পাহাড় চূড়ার দেখার আনন্দ সত্যিই অতুলনীয়। অন্তত ভ্রমণপ্রেমীদের অভিজ্ঞতা এমনই। তাই শীতের মরশুমে অনেকেরই ডেস্টিনেশন হয়ে ওঠে দার্জিলিং পাহাড়। অনেক সময়ে অবশ্য শীতের চিরাচরিত সৌন্দর্য ধরা দেয় না সেখানে।
কিন্তু চলতি বছর হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতির রূপ গিয়েছে খুলে। শীতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির জোড়া আনন্দে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা। পাহাড় তো বটেই, শুক্রবার সমতল শিলিগুড়িতেও বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে নেমে এল বরফের টুকরো। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শিলাবৃষ্টিতে দিনভর শীতল আমেজ রইল শিলিগুড়িতে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির স্বার্থে ঝামেলা করতেই হয়’, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে ফের বিতর্ক]
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে জলীয় বাষ্প-সহ উষ্ণ পূবালী হাওয়া। এই দুয়ের সংঘাতে রাজ্যজুড়ে বৃহ্স্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শুক্রবার সকালেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। দার্জিলিংয়ের তিনধরিয়া, লাচুং, সোনাদা, কালিম্পংয়ের রিশপে সকাল থেকে বরফপাত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সীমা পেরিয়ে উত্তর সিকিমও ঢেকেছে তুষারে। লাচেনের শোভা আরও বাড়িয়ে তুলেছেন হিমের চাদর। তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে শূন্যের কাছাকাছি। আর শিলিগুড়ির পারদ নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে। এমন স্বর্গীয় পরিবেশ পেয়ে আনন্দে মশগুল পর্যটকরা।
বড়দিনে না হলেও, তার পরের দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বর্ষশেষের আনন্দে কিছুটা ভাঁটা পড়েছে। মেঘ কেটে বৃষ্টি থামতেই ফের জাঁকিয়ে শীত উপভোগ করছেন রাজ্যবাসী। কিন্তু এই তাল কেটে যেতে পারে নতুন বছরের শুরুতেই। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বছরশেষেই ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ফলে বর্ষবরণের আনন্দ মাটি হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন উৎসবপ্রেমী মানুষ। তবে স্বস্তির কথা এই যে, পৌষ-মাঘে একেবারে দারুণভাবে উপভোগ্য হয়ে উঠছে শীতের মরশুম। যা গত কয়েক বছর ধরেই বেশ দুর্লভ হয়ে উঠছিল।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: নববর্ষের শুভেচ্ছা ব্যানারে CAA বিরোধিতা, দুর্গাপুর নগর নিগমের কাজে বিতর্ক]
The post শিলাবৃষ্টিতে বাড়ল শৈত্যের কামড়, হিমচাদরে মোড়া দার্জিলিংয়ের রূপে মুগ্ধ পর্যটকরা appeared first on Sangbad Pratidin.
