shono
Advertisement

নির্দেশ উপেক্ষা করে DA ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কর্মীদের পুরো বেতন! রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত উপাচার্যের

উপচার্যের বিরুদ্ধে সরব অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীরা।
Posted: 08:13 PM Mar 14, 2023Updated: 08:13 PM Mar 14, 2023

শেখর চন্দ, আসানসোল: ডিএ’র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে ডাক দেওয়া হয়েছিল যৌথ মঞ্চের তরফে। আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার সেই ধর্মঘটে অনুপস্থিত কর্মীদের সরকারি নির্দেশনামা উপেক্ষা করে পুরো বেতন দিয়েছেন ও সেদিনকার উপস্থিতির তালিকা অর্থদপ্তরে পাঠাতে অসহযোগিতা করছেন। এই অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের নোটিস দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তী। তার জেরেই প্রবল উত্তেজনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

Advertisement

মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা। রেজিস্টারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তী নিজেই নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। বলেন, “এই নোটিস অবৈধ, অগণতান্ত্রিক। উপাচার্য তিন মাসের এক্সটেনশনে রয়েছেন। ওনার এক্তিয়ারই নেই এই নোটিস জারি করার।”

[আরও পড়ুন : ‘যারা ভুল করেছেনতাদের আবার সুযোগ দেওয়া হোক’, চাকরিহারাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী]

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বলেন, “উপাচার্যের অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রেজিস্ট্রারই এক বছরের বেশি টেকেন না। তিনি অনেক অনৈতিক কাজ করেন। অবৈধভাবে গাছ কাটাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় এক উচ্চ অধিকারিককে তার অফিসের মধ্যেই থাকার-শোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ডেভেলপমেন্টে যে সমস্ত কাজ হচ্ছে সেই হিসাবপত্র তিনি ঠিকমতো দেন না। এইসব ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হয়েছে।”

উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী এই মুহূর্তে রয়েছেন কলকাতায়। ফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ ও ২১ এবং মার্চ মাসের ১০ তারিখ রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি ছিল। ওই দিনগুলি নিয়ে বিশেষ নোটিস পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের তরফ থেকে। তাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা ওই দিনগুলিতে উপস্থিত থাকছেন না তাঁদের বেতন কিছুটা কাটা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনামা লঙ্ঘন করে অনুপস্থিত সমস্ত কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার পুরো বেতন দিয়েছেন। এমনকি উপস্থিত কর্মীদের তালিকা অর্থদপ্তরে পাঠানোর জন্য যে সহযোগিতা দরকার তিনি তা করছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে বরখাস্তের নোটিস দিয়েছি।” দুর্নীতির অভিযোগ সব মিথ্যা বলেই দাবি তাঁর।

[আরও পড়ুন : চোখে চোখে কথা বলো…! ভারচুয়াল শুনানিতে প্রকাশ্যেই ‘প্রেমালাপ’ পার্থ-অর্পিতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement