নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সামান্য জমি নিয়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জটিলতা কিছুতেই কাটছে না। নোটিসের পর নোটিস দিয়ে বারবার নোবেলজয়ীর বাড়ির ‘বেআইনি’ জমি ছাড়ার কথা বলেছে বিশ্বভারতী (Vishva Bharati)। এমনকী জমির পরচা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তা মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার বিশ্বভারতীর এই নাছোড় আচরণের প্রতিবাদেই অমর্ত্য সেনের হয়ে পথে নামলেন বিশিষ্টজনেরা। শুক্রবার সকাল থেকে ‘প্রতীচী’র সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই শুরু হল প্রতিবাদ।
এদিন সকালে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) ‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষা সমিতি’র তরফে একটি পদযাত্রা করা হয়। তার ব্যানারে লেখা – ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা/আমার প্রতিরোধের আগুন।’ অমর্ত্য সেনের উপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ‘নিগ্রহে’র প্রেক্ষিতে প্রতিবাদসভার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এদিন মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী। ‘প্রতীচী’ থেকে শান্তিনিকেতন স্টেট ব্যাংক পর্যন্ত মিছিলে শামিল হন আশ্রমিক স্বপন ঘোষ, কুন্তল রুদ্র, সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
[আরও পড়ুন: রাহুলকে জেলে পাঠানো বিচারকের পদোন্নতি কীসের ভিত্তিতে? খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট]
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকজন বিশিষ্টজন জমায়েত করতে থাকেন। আসেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) সৃষ্টিতেই প্রতিবাদ চলতে থাকে। রবীন্দ্রসংগীত, কবিতাপাঠ, নৃত্যনাট্য, শ্রুতিনাটকে সকলে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আচরণের নিন্দায় সরব হন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার থেকে ‘প্রতীচী’র সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করবেন জেলার তৃণমূল (TMC) বিধায়করা। শামিল হবেন গায়ক, চিত্রশিল্পীরা। শনিবার সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে একক রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করবেন গায়ক কবীর সুমন (Kabir Suman)।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কতটা প্রভাব ফেলবে বাংলায়? কী জানাল হাওয়া অফিস?]
‘প্রতীচী’র ১৩ ডেসিমেল ‘বিতর্কিত’ জমি খালি করে দেওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীর নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে সিউড়ি জেলা আদালত। ১৫ মে মামলার শুনানি। তবে ১০ তারিখও শুনানি হতে পারে।