দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বর্ষশেষে ফের সুন্দরবনে (Sundarban) দেখা মিলল দক্ষিণরায়ের। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে বাঘমামাকে নদীর জলে নামতে দেখলেন সুন্দরবনে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। শার্দূল মহারাজকে চাক্ষুষ করে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে একাধিকবার সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের দর্শন পেয়েছেন পর্যটকরা। একবার তো শাবক সহযোগে বাঘিনীকে ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে বসে রোদ পোহাতে দেখেন পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, দুই বাঘের রোমহর্ষক রেষারেষিও বোটে করে সুন্দরবন ঘোরার সময় চাক্ষুষ করেছেন তাঁরা। বছরশেষের একদিন আগে শুক্রবার সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত বসিরহাট রেঞ্জের ঝিলা ১ নম্বর জঙ্গলে বাঘ দেখতে পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি থেকে আসা পর্যটকরা, এমনটাই দাবি সুন্দরবনে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত টুর অপারেটরদের।
[আরও পড়ুন: ‘আপত্তি থাকলে বিধানসভায় বিল আনুন’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিতর্কে মমতাকে পরামর্শ দিলীপের]
শুক্রবার ওই পর্যটকরা যখন বোটে করে ঝিলা ১ নম্বর জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় তাঁদের নজরে আসে নদীর পাড় বরাবর একটি বাঘ জলে নামার চেষ্টা করছে। সময় নষ্ট না করে সেই দুর্লভ মুহূর্ত তাঁরা মোবাইলবন্দি করেন। এদিকে, সুন্দরবনে পরপর বাঘের দেখা মেলায় আশাবাদী বনকর্তারাও। তাঁদের বক্তব্য, একের পর এক বাঘদর্শন এটাই প্রমাণ করে যে সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গলের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ফলে, আরও বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা।
[আরও পড়ুন: ‘নমামি গঙ্গে’য় নতুন পাঁচ প্রকল্পের ঘোষণা মোদির, আদিগঙ্গা পরিচ্ছন্ন করতে বরাদ্দ ৬০০ কোটি]
যদিও বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘের সঠিক সংখ্যা কত সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি বনকর্তারা।আগামী মার্চে বাঘ গণনার ফল প্রকাশ পেলেই সেই সংখ্যা জানা যাবে বলে দাবি তাঁদের। পর্যটনের মরশুমে সুন্দরবনে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বারবার বাঘের দর্শন পাওয়ায় খুশি তাঁরা, খুশি টুর অপারেটররাও। অন্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে সুন্দরবন ভ্রমণে ক্রমপর্যায়ে বেড়েই চলেছে পর্যটকদের সংখ্যাও, এমনটাই দাবি করলেন ক্যানিংয়ের টুর অপারেটররা।