নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: ক্রমাগত গুলি, বোমার শব্দ। চোখের সামনে প্রাণ গিয়েছে তরতাজা যুবকদের। দেহ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন চলেছে। এসবের পর দেড়দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু আতঙ্ক এখনও তাড়া করছে প্রতিমুহূর্তে। যে কোনও মুহূর্তে আবারও চলতে পারে গুলি। আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে শুরু করেছে সন্দেশখালির ভাঙিপাড়া-সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: ন্যাজাটের ওই বুথে ১৫০ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃনমূল, সংঘর্ষ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা]
ন্যাজাটের ভাঙিপাড়া গ্রামে শনিবার রাতের আতঙ্ক এখনও বাসিন্দাদের চোখে মুখে স্পষ্ট। সেই আতঙ্কেই গাঁ উজার হওয়ার জোগাড়৷ কেউ রাতের অন্ধকারে,কেউ বা আবার দিনের আলোতেই চোখমুখ ঢেকে কোনওরকমে বেরিয়ে পড়ছেন গ্রাম থেকে। এখন চিন্তা, কাল যদি তাঁদের বাড়িতে গুলি লাগে? বোমা গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় তাঁদের সন্তান? শনিবার রাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর তাঁরা চান না। কিন্তু তাঁদের হাতে তো ক্ষমতা নেই। অগত্যা ঘরছাড়াই একমাত্র পথ। তাঁদের কথায়, “শনিবার চোখের সামনে গোটা ঘটনাটা ঘটে গেল। গুলি চলার সময়ে দরজা-জানলা বন্ধ করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। পুলিশ ছিল। কিন্তু কেউ কিছু করল না। এমন ঘটনা এ গ্রামে আগে কখনও দেখিনি।”
ঠিক কী হয়েছিল শনিবার রাতে? তা জানতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে নানা রকম কথা। একেক জন একেক রকম প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। তবে তৃণমূল-বিজেপি, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে গ্রামের মানুষ যে বর্ণনা দিচ্ছেন, রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যে ভাবে এক রাতের জমা রক্তের ছাপ দেখাচ্ছেন মেঠো পথে, তাতে শিউড়ে উঠতেই হয়। শান্তশিষ্ট গ্রামটার গায়ে এমন হিংসার ছাপ! শনিবার রাতে ওই ভয়ংকর ঘটনার সময় যিনি সেখানে ছিলেন, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দু’পক্ষকেই। তিনিও আহত। জরাজীর্ণ শরীরে তিনি বললেন, ‘এটা বাধা দেওয়ার শাস্তি।’ গ্রামবাসীদের কথায়, ‘শয়তান’ ঢুকে পড়েছে গ্রামে।
[আরও পড়ুন: ‘আগে মনকে গেরুয়া করতে হবে’, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান আটকে দিলেন বাবুল]
The post এক রাতের আতঙ্ক এখনও বিরাজমান, ভয়ে ভাঙিপাড়া ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
