শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্কুলে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীর লালসার শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন বছর বারোর বালিকা। মঙ্গলবার সকালে রাস্তা থেকে তুলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের চাঁদগাও এলাকায় ঘটনাটি ঘটে
আক্রান্ত ছাত্রী ঝোপ থেকে কোনক্রমে উঠে রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে অদূরে নিজের স্কুলে পৌঁছয়। সমস্ত ঘটনা শুনে স্কুলের শিক্ষকরা স্থানীয় কুনোর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের কাছে খবর পাঠায়। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে আসেন। খবর যায় পুলিশে। এর পর পরিবারের তরফে কালিয়াগঞ্জ থানায় প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: কুকুরের পাত থেকে বিস্কুট তুলে দলীয় কর্মীকে দিলেন রাহুল গান্ধী! ভাইরাল ন্যায় যাত্রার ভিডিও]
ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পড়শি যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের নাম উজ্জ্বল বর্মন। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন,”নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত যুবক ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।”
পরিবার সূত্রে জানা যায়, এদিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় চাঁদগাঁও প্রাথমিক স্কুলে যাচ্ছিল বিশেষভাবে সক্ষম ওই ছাত্রী। স্কুলের অদূরের রাস্তা থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সামনের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে পালিয়ে যায় ওই প্রতিবেশী। এই অবস্থায় অসুস্থ ওই ছাত্রীকে স্কুল শিক্ষকরা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। তার পর পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতালে পৌঁছয়। পেশায় কৃষক নির্যাতিতার দাদুর অভিযোগ, “নাতনি প্রতিবন্ধী। স্কুলে যাচ্ছিল। তখন গ্রামের এক ছেলে নাতনিকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নাতনির শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হোক।”