সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শক্তিগড়ে সোনার দোকানে শুটআউট। দোকান মালিকের পেটে গুলি চালিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তড়িঘড়ি গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা।
জানা গিয়েছে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে শক্তিগড়ে থানা এলাকায় ওই সোনার দোকানটি। অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার সকালে দোকান খোলেন সন্দীপ দাস ওরফে খোকন। সূত্রের খবর, ১১ টা নাগাদ বাইকে চেপে দু’জন দোকানে যায়। একজন বাইরে দাঁড়ায়, অন্যজন ভিতরে ঢোকে। এরপরই আচমকা সন্দীপবাবুর সঙ্গে কোনও কারণে বচসা বাঁধে তার। অভিযোগ, তারপরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেই সময়ই নাকি ব্যবসায়ীর পেটে গুলি চালায় দুষ্কৃতী। এরপরই দৌঁড়ে দোকান থেকে বেরিয়ে বাইরে থাকা বাইকে চেপে চম্পট দেয় সে।
[আরও পড়ুন: বড়দেবীর ময়না কাঠের পুজো, শারদোৎসবের সূচনা কোচবিহারে]
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তড়িঘড়ি ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যালের অনাময় হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানেই চলছে অস্ত্রোপচার। এ বিষয়ে পাশের এক ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, গুলির শব্দ পেয়ে তিনি বাইরে আসেন। তবে ততক্ষণে আততায়ীরা পালায়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে যে কমপ্লেক্সে ওই সোনার দোকান সেখানে সিসিটিভি না থাকায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। এক প্রত্যক্ষদর্শীর মোবাইলে তোলা ভিডিও দেখে আততাতীয় খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে খবর। দোকানে লুটপাটে বাধা পাওয়ায় খুনের চেষ্টা নাকি নেপথ্যে পুরনো শত্রুতা? জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সিংহরায় বলেন, “একজন ব্যবসায়ীকে গুলি করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘুরে কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
