shono
Advertisement

Breaking News

SIR Draft Voter List

SIR খসড়া ভোটার তালিকায় নেই কুলটির যৌনপল্লির ৪০ শতাংশের নাম! চরমে উদ্বেগ

ঘটনার দায় বিএলওর উপরই চাপিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 04:55 PM Dec 20, 2025Updated: 06:42 PM Dec 20, 2025

স্টাফ রিপোর্টার, আসানসোল ও কাটোয়া: খসড়া তালিকায় (SIR Draft Voter List) ৪০ শতাংশ নাম বাদ! কুলটির নিষিদ্ধপল্লিতে চারটি বুথে ভোটার তালিকা থেকে বাদ মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি। এসআইআরের শুরুতে চারটি বুথে মোট ভোটার ছিল ৩ হাজার ৬২৭। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নাম বাদ ৭৪২ জনের। যার মধ্যে মৃত ১৩৯। অন্যত্র চলে গিয়েছেন ৬৯ জন। ৫৩৪ জনের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ২০০২-এর তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং করা যায়নি, এমন ভোটারের ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪। উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এল নিয়ামতপুর সংলগ্ন যৌনপল্লি এলাকাগুলিতে।

Advertisement

সিপিএমের বিএলএ-২ অশোক মাহাতো, বিজেপি নেত্রী ইন্দ্রাণী আচার্যর অভিযোগ, ভোটার নেই। কিন্ত ভোটার তালিকায় এই নাম রেখে দেওয়া হয়েছিল। শাসকদল এই ভুতূড়ে ভোটারদের কাজে লাগিয়েছে বছরের পর বছর। তাঁদের আরও অভিযোগ, বাদ যাওয়া নামগুলিতে মহিলার সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ। নিষিদ্ধপল্লি এলাকায় বাংলাদেশি যোগ রয়েছে। যদিও তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি বাচ্চু রায় এই নাম বাদ যাওয়ার পিছনে দায় চাপিয়েছেন বিএলওদের ওপর। তাঁর সাফাই, ‘‘যৌনকর্মীরা বাড়ির পরিচয় গোপন রেখে এখানে ব্যবসা করতে আসেন। তাঁরা ভয় পেয়ে অন্যত্র চলে গেছেন বা ফর্ম তুলেও জমা করেননি। এখানে বাংলাদেশির যোগ নেই।’’

এদিকে ভোটার কার্ড রয়েছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নামও ছিল। কিন্তু ২০২৪ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় এনুমারেশন ফর্ম পাননি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মালিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা নমিতা বাগদি। তিনি বলেন, ‘‘এখন আশঙ্কার মধ্যে রয়েছি আবার ভোটার তালিকায় আমি ফিরে আসতে পারব কিনা!’’ যদিও আউশগ্রাম ২ বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, ‘‘যেহেতু ওই মহিলার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল, তাই বর্তমান ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। নতুন করে নাম তোলার জন্য ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হবে।’’

মালিয়াড়া গ্রামের বাগদিপাড়ার বাসিন্দা নমিতা বাগদি (৪৮)। পেশায় জনমজুর। স্বামী সুভাষ বাগদিও জনমজুর ছিলেন। মাস দেড়েক আগে সুভাষ বাগদি মারা যান। বাড়িতে রয়েছেন ছেলে প্রশান্ত বাগদি ও পুত্রবধূ। নমিতা দেবী জানান, বিএলও এলাকায় এনুমারেশন ফর্ম বিলির সময় দেখা যায় তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূকে ফর্ম দেওয়া হয়। তাঁকে দেওয়া হয়নি। গ্রামবাসী চিন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা দেখে আসছি নমিতা বাগদি বিগত নির্বাচনগুলিতে ‌ভোট দিয়েছিলেন। কীভাবে তাঁর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ চলে গেল তা অবাক লাগছে। আমরাও বি এল ওর কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছি যাতে নমিতা বাগদির নাম তোলা যায়।’’ জেলার অনেক জীবিত ভোটার তালিকায় মৃত। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ ভোটারদের মধে‌্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খসড়া তালিকায় ৪০ শতাংশ নাম বাদ! কুলটির নিষিদ্ধপল্লিতে চারটি বুথে ভোটার তালিকা থেকে বাদ মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি।
  • এসআইআরের শুরুতে চারটি বুথে মোট ভোটার ছিল ৩ হাজার ৬২৭। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নাম বাদ ৭৪২ জনের। যার মধ্যে মৃত ১৩৯। অন্যত্র চলে গিয়েছেন ৬৯ জন। ৫৩৪ জনের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
  • এছাড়াও ২০০২-এর তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং করা যায়নি, এমন ভোটারের ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪। উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এল নিয়ামতপুর সংলগ্ন যৌনপল্লি এলাকাগুলিতে।
Advertisement