অর্ণব আইচ: ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এবার শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকা থেকে কলকাতার পুলিশের জালে তিন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রাথমিকের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বলে খবর। উল্লেখ্য, এই চোপড়া থেকেই ট্যাব দুর্নীতি (Tab Scam) কাণ্ডের সূত্রপাত। ধৃতদের জেরা করছেন কলকাতা পুলিশের তৈরি সিটের আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও খোঁজ চলছে। তাদের নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন চোপড়ার দিবাকর দাস। তিনি মরিচা গোয়ালগাছা স্কুলের টিচার ইন চার্জ। ট্যাব কেলেঙ্কারির অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি দুজন গোপাল রায় ও বিশাল ঢালি দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের আওতায় ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে যায়। এখন সেই টাকা নিয়েও দুর্নীতির জাল বিস্তৃত হয়েছে। যার মূল উৎস্য উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। সেখানেই প্রথম ট্যাবের টাকা তছরূপের হদিশ মেলে। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই এই জাল ছড়িয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে অনেকে।
এই দুর্নীতির তদন্তে কলকাতা পুলিশ সিট গঠন করেছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৯১১ জন পড়ুয়া আর্থিক কেলেঙ্কারির শিকার। কোথা থেকে কীভাবে ট্যাবের টাকা এভাবে নয়ছয় হল, তার প্রাথমিক ধারণাও করে ফেলেছেন তদন্তকারীরা। বলা হচ্ছে, স্কুলের সার্ভার হ্যাক করে কিংবা পোর্টালের পাসওয়ার্ড চুরি করে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এর মধ্যে স্কুলের কেউ জড়িত বলেও প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। সেসবের কিনারা করতে অপারেশন শুরু করে কলকাতা পুলিশের সিট। আর তাতেই শিলিগুড়ি থেকে প্রাথমিকস স্কুলের এক শিক্ষক-সহ ধরা পড়েছেন ৩ জন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের খোঁজ করছে পুলিশ। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে তিনজনকে। তাদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা।