সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ বঙ্গবাসী। ঘর থেকে বেরোলেই রীতিমতো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। গরমের হাত থেকে নিস্তার মিলছে না ঘরের ভিতরেও। আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়বে তাপামাত্রা, জানাল হাওয়া অফিস। তবে স্বস্তির খবর রয়েছে কয়েকটি জেলার জন্য। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদ-সহ দুই ২৪ পরগনা ও নদিয়ায়।

[আরও পড়ুন: ফলের আগে সরগরম পুরুলিয়ার বেটিং বাজার, পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে লক্ষাধিক টাকার বাজি]
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছে শহরবাসী। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ছুঁইছুই। গরমে জেরবার মানুষ। ঘর থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে শহরবাসীর। আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। ৪০ এর গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারে পারদ জানাল হাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে আগামিকাল এই মরশুমের সর্বোচ্চ আর্দ্রতা থাকবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। জানা গিয়েছে, রবিবার বাতাসে আর্দ্রতা থাকতে পারে সর্বাধিক, ৯৭ শতাংশ। যদিও শহরবাসী দাবি, ইতিমধ্যেই ৪০-এর ঘর পেরিয়েছে পারদ। নচেৎ এমন অস্বস্তি হওয়া অসম্ভব। তবে সুখবর, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনার ও নদিয়ার জন্য। আগামিকাল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে ওই চারটি জেলায়।
[আরও পড়ুন: উৎসব হোক শিকার বাদ দিয়ে, বুদ্ধপূর্ণিমার আগে অযোধ্যা পাহাড়বাসীকে বার্তা প্রশাসনের]
এই তীব্র গরম থেকে সুস্থ থাকতে চিকিৎসকরা একাধিক পরামর্শ দিচ্ছেন৷ বলা হচ্ছে, সকাল ৯টার পর থেকেই রোদ চড়তে থাকে৷ তাই বাইরের কাজ তার মধ্যেই সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ ওদিকে, বিকেল ৫টার পর রোদের তাপ কমতে থাকে৷ ফলে ওই সময়েও কাজ করা খুব একটা বিপজ্জনক নয়৷ কিন্তু বেলা ১২ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত সময়টা রোদ এড়িয়ে চলতেই বলছেন চিকিৎসকরা৷ সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত জল, হালকা খাবার খেতে হবে৷ তেষ্টা মেটাতে হাতের কাছে থাকা ঠান্ডা পানীয় না খেয়ে ডাবের জল, লস্যির উপর ভরসা রাখতে হবে৷ রোদে বেরোলে ছাতা, সানগ্লাস, সুতির পোশাক আবশ্যক৷ আলট্রা ভায়োলেটের তেজ থেকে চামড়া বাঁচাতে উচ্চ এসপিএফ-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আর এসব অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেও, গরমে দিনযাপন কিছুটা কষ্টকর হলেও, অসুস্থ হবেন না৷
The post সূর্যের তেজের দোসর তীব্র আর্দ্রতা, আগামিকাল অস্বস্তি চরমে ওঠার পূর্বাভাস appeared first on Sangbad Pratidin.