shono
Advertisement

নোটের গেরোয় হিমঘরেই আলু, দাম বাড়ার আশঙ্কা

সাড়ে আট টাকা কেজি দামে আলু বিক্রি হলেও ক্রেতাদের পনেরো থেকে কুড়ি টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে! The post নোটের গেরোয় হিমঘরেই আলু, দাম বাড়ার আশঙ্কা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:35 PM Nov 12, 2016Updated: 09:05 AM Nov 12, 2016

স্টাফ রিপোর্টার: মজুত থেকেও বাজারে নেই৷ নোট কাণ্ডের ধাক্কায় উত্তরবঙ্গের হিমঘরেই বন্দি কয়েক হাজার টন আলু৷
পাঁচশো-হাজারের নোট দেখলেই মুখ ফেরাচ্ছেন পাইকাররা৷ খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে খুচরো বিক্রেতাদের৷ ফলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আলুর জোগানে ভাটার টান৷ অর্থনীতির সূত্র মেনেই তাই চড়ছে দামের পারদ৷ এদিকে দু’সপ্তাহের মধ্যে নতুন আলু বাজারে চলে আসবে৷ তখন কমবে পুরনোর কদর৷ ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, তখন মজুত পুরনো আলু হয় ফেলে দিতে হবে৷ না-হয় পচে নষ্ট হবে৷
উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক দাস বলেছেন, “হিমঘরে মজুত আলু দু’সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পাঠাতে না পারলে বিপদ বাড়বে৷ ওই আলু আর চলবে না৷ ফেলে দিতে হবে৷ কারণ, তখন নতুন আলু উঠে যাবে৷” ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের ৫৪টি হিমঘরে দেড় হাজার কোটি প্যাকেট আলু মজুত ছিল৷ প্রতিটি প্যাকেটের গড় ওজন পঞ্চাশ কেজি৷ সেই আলুর ৩৩ শতাংশ এখনও মজুত রয়েছে৷ ক্রেতা থাকলেও বাইরে বের করা সম্ভব হচ্ছে না৷ কারণ, গেরো বাতিল পাঁচশো-হাজারের নোট৷
পাইকারি বিক্রেতারা জানান, গত বছর নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে দিনে দেড়শো ট্রাক আলু বাজারে পৌঁছেছে৷ প্রতি ট্রাকে ২০ টন আলু থাকে৷ এবার মাসটা ভালই শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু বুধবার থেকে দিনে দশ ট্রাক আলুও বাজারে যাচ্ছে না৷ কেন?
ধূপগুড়ির পাইকারি আলু ব্যবসায়ী দেবব্রত চক্রবর্তীর কথায়, “খুচরো বিক্রেতাদের বেশিরভাগ পাঁচশো-হাজার টাকার নোট নিয়ে আসছেন৷ বাধ্য হয়েই ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে৷” ঘোরালো পরিস্থিতিতে যে চাষি ও ব্যবসায়ীরা হিমঘরে আলু মজুত রেখে কিছুটা বাড়তি লাভের আশা করেছিলেন, তাঁদের মাথায় হাত৷ ময়নাগুড়ির চাষি শিবেন রায় জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁর নিজের খেতের নতুন আলু বাজারে যাবে৷ তখন হিমঘরে মজুত আলু ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না৷ একই আশঙ্কায় ভুগছেন ধূপগুড়ির গাদং এলাকার চাষি গৌরাঙ্গ দাস৷ এদিকে বাজারে আলুর সরবরাহ কমতেই দাম চড়ছে৷ শুক্রবার পাইকারি বাজারে সাড়ে আট টাকা কেজি দামে আলু বিক্রি হলেও ক্রেতাদের খুচরো বাজারে সেটা পনেরো থেকে কুড়ি টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে৷ কেন দামের এমন ফারাক?
জলপাইগুড়ির দিনবাজার সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরিবালা সাহা বলেন, “পকেটে টাকা থাকলেও সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না৷ পাঁচশো-হাজারের নোট দেখা মাত্র আড়তদার ফিরিয়ে দিচ্ছেন৷ খুব সামান্যই আলু বাজারে আছে, তাই দাম বাড়ছে৷” ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজারের সবজি ব্যবসায়ী পরিমল রায় জানিয়েছেন, খুচরো ব্যবসার বেশিটাই এখন চলছে ধারবাকিতে৷ তার উপরে আলু কিনতে হন্যে হতে হচ্ছে৷ পাইকারি ব্যবসায়ীরা আগাম জানিয়ে দিচ্ছেন, খুচরো না-দিলে কিছু করার নেই৷ তাই বাধ্য হয়ে যে অল্পকিছু একশো-পঞ্চাশের নোট হাতে আসছে, সেটা দিয়ে যতটুকু সম্ভব আলু কিনে দোকান চালাতে হচ্ছে৷

Advertisement

The post নোটের গেরোয় হিমঘরেই আলু, দাম বাড়ার আশঙ্কা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement