shono
Advertisement

ভূতের ভয় কাটাতে মোটরকালীর পুজো বালুরঘাটে

পুজো ঘিরে নানা কাহিনি। The post ভূতের ভয় কাটাতে মোটরকালীর পুজো বালুরঘাটে appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 04:55 PM Oct 15, 2017Updated: 07:17 PM Sep 26, 2019

রাজা দাস, বালুরঘাট: একসময় শবদেহ রাখা হত। হাসপাতাল অন্যত্র সরে গেলেও ঘরটি ছিল পুরনো জায়গায়। তাই এলাকার বাসিন্দাদের শবঘর বা লাশকাটা ঘর নিয়ে আতঙ্ক ছিল। সেই ভয়ের জন্য বালুরঘাটের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকা এড়িয়ে চলতেন এলাকার বাসিন্দারা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতে কালী পুজো শুরু হয়। সেই থেকে কালিকাই ভয়-ভীতি কাটিয়েছেন সাধারণের। বালুরঘাট শহরের এই দেবী জাগ্রত হিসাবে পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তিতে বাৎসরিক পুজো হলেও, কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি হয়।

Advertisement

[পাহাড়ের চেয়ে ‘উঁচু’ প্রতিমা, ঝাড়গ্রামের আকর্ষণ ৬০ ফুটের কালী]

বালুরঘাট শহরের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোটরকালী পুজো তেমন প্রাচীন না হলেও এর অতীত বেশ সমৃদ্ধ। প্রায় বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন গাড়ি অর্থাৎ মোটর মালিকরা। (স্থানীয়ভাবে আগে গাড়ির প্রচলিত শব্দ ছিল মোটর)। বর্তমানে যেখানে মোটরকালী পুজো হয় সেখানে আগে ছিল ফুটানিগঞ্জের হাট। এর কিছুটা দূরে ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের জেলা হাসপাতালটি। আর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরটি ছিল ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে। পরবর্তীতে জেলা হাসপাতালটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর এলাকায়। কিন্তু ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে থাকা লাশকাটা ঘর এবং লাশ বহনকারী গাড়ি থেকে যায় পরিতক্ত্য অবস্থায়। এই লাশকাটা ঘরের অদূরে ছিল একটি প্রাইভেট গাড়ির স্ট্যান্ড। দিনের বেলা কিছু গাড়ি চলাচল করত। সপ্তাহে হাটের দিন বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ ওই চত্বরে যাওয়ার সাহস পেত না। ভূতের ভয় সাংঘাতিকভাবে কাজ করত সাধারণ মানুষের মধ্যে।

[বাঁকুড়ার কালীতলার মাতৃ আরাধনায় ফিরে আসে অগ্নিযুগের ইতিহাস]

আতঙ্ক কাটাতে এগিয়ে আসেন এলাকার প্রবীণরা। জুজু সরাতে স্ট্যান্ডের বাস মালিকরা পরিত্যক্ত লাশকাটা ঘরের সঙ্গে মা কালীর মুর্তি স্থাপন করেন। নাম দেওয়া হয় মোটরকালী। এরপর থেকে পাঁঠাবলি ও অনান্য নিয়ম মেনে নিষ্ঠা সহকারে পূজিতা হয়ে আসছেন মোটরকালী। তবে মন্দিরে মায়ের পুজার আগে ঘাটপুজা দিতে হয় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাঁড়িতে। সেখানেই নাকি ঈশ্বরীয় কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বহু মানুষ। কথিত আছে যেখানে ঘাটকালীর পুজা দেওয়া হয় সেখানকার জল নাকি শুকোয় না কখনও। পরীক্ষামূলক ভাবে সেচ লাগিয়েও তা সম্ভব হয়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। খরার সময় আশেপাশে জল শুকিয়ে গেলেও জল থেকে যায় আত্রেয়ী খাঁড়িতে।

The post ভূতের ভয় কাটাতে মোটরকালীর পুজো বালুরঘাটে appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement