ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় মতুয়ারা। ইতিমধ্য়ে SIR-এর প্রতিবাদে ঠাকুরবাড়িতে অনশনে বসেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের পাশে দাঁড়াতে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছলেন তৃণমূলের তিন প্রতিনিধি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছলেন শশী পাঁজা, স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং তন্ময় ঘোষরা। অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এর আগে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও মতুয়াদের অনশন মঞ্চে যান।
মতুয়ারা মনে করছেন এসআইআরের ফলে অনেকের নাম বাদ যেতে পারে। সে কারণেই তাঁরা প্রথম থেকে এসআইআরের বিরোধিতায় সরব। বিজেপি প্রথম থেকেই SIR-এর পক্ষে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, পরবর্তীকালে গেরুয়া শিবিরই খোদ বাংলায় এসআইআর নিয়ে বেজায় চাপে। সে কারণে এসআইআর নিয়ে খোদ মতুয়াদের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরও আতঙ্কে। এসআইআরের ফলে কারও নাম বাদ গেলে প্রয়োজনে CAA করে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই আশ্বাসে কাজের কাজ হয়নি। পরিবর্তে দিন যত গড়াচ্ছে, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যেন মতুয়াদের মধ্যে আরও বেড়েছে। তার ফলে এখনও অনশনে শামিল মতুয়ারা। গত বারোদিন ধরে চলছে অনশন। ঠাকুরবাড়িতেই চলছে অনশন। সেই অনশন মঞ্চে রয়েছেন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। এসআইআরের বিরোধিতায় মতুয়াদের স্বার্থে আরও বৃহৎ আন্দোলন হবে। প্রয়োজনে দিল্লিতেও হবে অনশন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মতুয়াদের এসআইআর নিয়ে শাসক, বিরোধীর মধ্যে চলছে দড়ি টানাটানি। ইতিমধ্যে সিপিএম, কংগ্রেস প্রতিনিধির দেখা মিলেছে ঠাকুরবাড়িতে। আগেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দু’জনেই পৃথকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়লে আন্দোলন হবে। দিল্লিতে ১ লক্ষ মানুষকে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ঘেরাও হবে। আসলে গত কয়েক বছরে বঙ্গে মতুয়াদের বেশিরভাগ সমর্থন থেকেছে বিজেপির পক্ষে। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলও ওই ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে। সে কারণেই সম্ভবত তৃণমূল প্রতিনিধি দলের গন্তব্য ঠাকুরবাড়ি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
