সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গোটা বিশ্বে এখন আতঙ্কের কারণ করোনা। মারণ ভাইরাসকে হারালেন দুই প্রৌঢ়া এবং এক প্রৌঢ়। দুর্গাপুরের সনোকা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তাঁরা। সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার ওই তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুর্শিদাবাদের গ্রাম টালোঙ্গার বছর পঞ্চাশের বাসিন্দা মঞ্জু দেবাংশী গত ২৭ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন। বীরভূম থেকে ১ মে তাঁকে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গাইডলাইন মেনে গত ৪ এবং ৬ মে আবারও পরীক্ষা করা হয় তাঁর। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে একাধিক উদ্যোগ, দিনমজুর ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পাশে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন]
বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের বছর আটান্নর ঊর্মিলা দে’র গত ২৭ এপ্রিল করোনা পরীক্ষা হয়। রিপোর্ট হাতে আসার পরই জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। দুর্গাপুরের সনোকা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁদের। WHO’র গাইডলাইন মেনে ৪ এবং ৬ মে আবার পরীক্ষা করা হয়। তবে সেই রিপোর্ট হাতে আসার পর স্বস্তি পান রোগী এবং তাঁর পরিজনেরা। তাতেই দেখা আর তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ নেই। তাই শুক্রবার দুর্গাপুরের সনোকা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।
বছর বাহান্নর পীযূষকান্তি মণ্ডলও বর্তমানে করোনা মুক্ত। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল করোনা ধরা পড়ে তাঁর। দুর্গাপুরের সনোকা হাসপাতালে তাঁকেও ভরতি করা হয়। ৪ এবং ৬ মে আবারও নমুনা পরীক্ষা হয় তাঁর। নেগেটিভ আসায় শুক্রবার বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আপাতত ওই তিনজনকে আগামী ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁদের।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: রাজ্যে কম সংখ্যক আইসোলেশন কোচ কেন, কেন্দ্রকে তোপ বনমন্ত্রীর]
The post যমে-মানুষে লড়াইয়ে জয়, ভাইরাসকে হারিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৩ করোনা রোগী appeared first on Sangbad Pratidin.
