সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে খানাতল্লাশির পর ‘আটক’ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে। শোনা যাচ্ছে, কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর নামের সম্পত্তিগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, কী পদক্ষেপ করবে সিবিআই, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আটক প্রসঙ্গেও মুখে কুলুপ তদন্তকারীদের।
বুধবার সাত সকালে বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদের চারটি দল। একটি দল যায় বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। অনুব্রত (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কাউন্সিলরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি ও জেরা। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের পর যে ১৭ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টও। অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের টাকা ওই কাউন্সিলরের নামে রাখতেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় দু’ঘণ্টা বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে ছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে বের হন তাঁরা। গাড়িতে করে রওনা দেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে।
[আরও পড়ুন: এবার বোলপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে CBI হানা, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরল বাড়ি]
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আটক করা হয়েছে বিশ্বজ্যোতিকে। তবে এ বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা এখনও মুখ খোলেননি। সূত্রের খবর, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে খতিয়ে দেখা হবে কাউন্সিলরের আয়-ব্যায়ের হিসেব। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে। যদিও গোটাটাই এখনও অনুমান। সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
প্রসঙ্গত, এদিন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মোট ৪ জনের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তাঁর মধ্যে রয়েছেন সুদীপ রায়, দোলনকুমার দে। এর পাশাপাশি অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারির বাড়িতেও পৌঁছেছে সিবিআই। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জেরা পর্ব। তদন্তকারীদের অনুমান, বোলপুরের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতাদের জেরা করা হলেই প্রকাশ্যে আসবে বহু অজানা তথ্য, যা তদন্তে সহযোগিতা করবে।