দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: চায়ের দোকানে বসে চলছিল আলাপ-আলোচনা। আর তখনই হঠাৎই প্রাক্তন প্রধানের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এলাকারই কয়েকজন যুবক। যারা আরএসপি আশ্রিত সমাজবিরোধী বলে দাবি তৃণমূলের। আহত হয়েছেন বাসন্তীর প্রাক্তন প্রধান সিদাম মণ্ডল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার সোনাখালি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতায়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বুধবার বাসন্তীতে পঞ্চায়েত গঠন চলছিল। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ ছিলেন বাসন্তীর প্রাক্তন প্রধান সিদাম মণ্ডল। সিদাম সেখান থেকে বেশ কিছুক্ষণের জন্য চায়ের দোকানে এসেছিলেন চা খেতে। আর সেখানে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে হঠাৎই রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। তার মধ্যে এক যুবক সিদামকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে গলায়। রক্তাক্ত অবস্থায় চায়ের দোকানের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে ধরে প্রথমে বাসন্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: প্রতিবেশীকে বাবা সাজিয়ে জাতি শংসাপত্র! ভোটে জেতার পরও শেষরক্ষা হল না বিজেপি প্রার্থীর]
এরপর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত রাহিদ খান নামে ওই যুবকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পরে পুলিশ এবং স্থানীয়রা ওই বাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। উল্লেখ্য, বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের গতবারের বিদায়ী বোর্ডের প্রধান ছিলেন সিদাম। এবার নতুন বোর্ডের প্রধান হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল মণ্ডল। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।
তৃণমূলের তরফ থেকে স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “আমাদের দলের কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেছে আরএসপি।” বাসন্তী প্রাক্তন বিধায়ক তথা আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তার সঙ্গে আরএসপির কোনও যোগ নেই।”
