সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি নেত্রী তথা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রেখা পাত্রকে 'কুরুচিকর' ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ফিরহাদ রেখা পাত্রকে নিন্দনীয় ভাষায় আক্রমণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও অপমান করেছেন ফিরহাদ। তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু।
বুধবার হাড়োয়ায় তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলামের সমর্থনে দলীয় জনসভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে চাঁচাছোলা বক্তব্য রাখেন কলকাতার মেয়র তথা নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ আর বলেন, ‘‘নারী নির্যাতন নিয়ে সারা দেশের কাছে মিথ্যা প্রচার করেছে বিজেপি। সন্দেশখালির নারীদের অসম্মান করেছে বিজেপি। সন্দেশখালিতে আমার এক বন্ধু থাকে। তার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিংয়ে। বিজেপি সন্দেশখালিকে এতটাই কালিমালিপ্ত করেছে যে ক্যানিংয়ের লোকজন বলে, সন্দেশখালির মেয়ে মানে অপবিত্র। তাই তার বিয়ে ভেঙে যায়। তাই তার বাবাও হাঁউ হাঁউ করে কাঁদছে। বসিরহাটের যিনি বিজেপির প্রার্থী ছিলেন, সেই ভদ্রমহিলা কোথায়? এই তো হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে কেস করেছিল। হেরো মাল। কয়েক লক্ষ ভোটে হেরে গেল। তারপরে কেস করল। বিজেপি কেস ছাড়া কিছু জানে না।"
এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা। আইএসএফ, সিপিএম ও কংগ্রেস মির জাফর। যেমন ইংরেজদের ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছিল মির জাফর। সেরকমই বিজেপিকে পিছন থেকে সাপোর্ট করছে এই দলগুলি। বিজেপি কোনওদিন বাংলা দখল করতে পারবে না। আগামী দিনে দিল্লি বা মহারাষ্ট্রে ভোট হলে সেখানেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সারা ভারতবর্ষে তাদের অবস্থা খারাপ। লোকসভা ভোটের আগে একটা দাড়িওয়ালা লোক এসেছিল সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মানুষকে বোঝাতে। প্রতিটা মঞ্চে কেঁদেওছিল।’’
ফিরহাদের এই মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, "এভাবে একজন মহিলাকে 'মাল' বলে কটাক্ষ করলে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। তাছাড়া রেখা পাত্র তফসিলি জাতিভুক্ত। এই মন্তব্য গোটা তফসিলি সমাজকে আক্রমণ।" শুভেন্দুর বক্তব্য, "যে লোকটা এভাবে মহিলাকে আক্রমণ করতে পারেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করবেন সেটাই প্রত্যাশিত।" খোদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং জাতীয় মহিলা কমিশনকে উদ্দেশ্য করে ফিরহাদের শাস্তি দাবি করেছেন শুভেন্দু।