অর্ণব দাস, বারাসত: ফের তৃণমূলে (TMC) নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব উসকে দিলেন আরেক বিধায়ক। মঙ্গলবার অশোকনগরের কল্যাণগড় সংস্কৃতি সংঘ শিক্ষা নিকেতন স্কুলের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরাজি মাধ্যমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) নারায়ণ গোস্বামী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”প্রবীণদের পরামর্শ নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে যুবরা। সেটাই তো পার্টি। যুবদের এনার্জি অনেক বেশি। ধরুন, আপনার ফোনে সফটওয়্যার আপডেট নেই। তাহলে তো হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)চলবে না।” তাঁর আরও মন্তব্য, ”অভিষেকের মতো পরিশ্রমী নেতা আমি দেখিনি।” এতে যথেষ্ট প্রকট নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। আর তাঁকে পালটা দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা দলের প্রবীণ বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, ”নবীন-প্রবীণ বলে কোনও ব্যাপার নেই। সকলে মিলে দল চালাতে হবে”।
গত কয়েকদিন ধরেই প্রবীণ বনাম নবীন – এই ইস্যুতে আলোচনা চলছে শাসকদলের অন্দরে। তারই মধ্যে নারায়ণ গোস্বামী কার্যত সরাসরি নবীনদের এগিয়ে রেখে বিতর্ক আরও বাড়ালেন। তাঁর বক্তব্য, ”সিপিএমের (CPM) যেমন নীতি যে দেহত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ নয়। এখানে তেমন নয়। প্রবীণদের গঠনমূলক পরামর্শ নিয়ে নবীনরা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটাই পার্টি। সফটওয়্যার আপডেট না থাকলে তো হোয়াটসঅ্যাপ চলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ আজকের প্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আর সেই কাজ করতে পারবে যুবরা। আমি এতদিন ধরে তৃণমূল করছি, অভিষেকের মতো পরিশ্রমী দেখিনি। ৫৫ দিন ধরে গোটা রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার কর্মসূচি ও করেছে সমান এনার্জি নিয়ে। আর যুবরা বেশি কাজ করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজেরই প্রচার বেশি হবে।”
[আরও পড়ুন: মশারি খাটিয়ে ভোরের ট্রেনে যাত্রা! কড়া ব্যবস্থা নেবে রেল]
এমন মন্তব্যের পালটায় এই দ্বন্দ্ব উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ বিধায়ক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh)। তিনি বলেন, এমন কোনও ব্যাপার নেই যে দলে নবীন বা প্রবীণ আলাদাভাবে কাজ করে। সকলে মিলে কাজ করে। সেভাবেই দল এগিয়ে যাবে। এখানে বয়সের কোনও ব্যাপার নেই। কমবয়সি হোক বা বেশি বয়সি, যাঁদের মধ্যে ক্ষমতা আছে, দক্ষতা আছে, তাঁরা দলে কাজ করবেই। আর আমাদের সবার লক্ষ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক করে দেওয়া কর্মসূচি ঠিকমতো পালন করা।”
দেখুন ভিডিও: