সুব্রত যশ, আরামবাগ: আরও চওড়া ডেঙ্গুর থাবা। মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হুগলির আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী ও মেয়ে। তাঁরা শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি।
আরামবাগের তৃণমূল সাংসদের স্বামী সাকির আলি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর মেয়ের বয়স মোটে আড়াই বছর। সপরিবারে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফেরার পর থেকে অসুস্থবোধ করছিলেন সাংসদের স্বামী ও মেয়ে। দু’জনেই জ্বরে ভুগতে শুরু করেন। চিকিৎসকের কাছে যান তাঁরা। রক্তপরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেই অনুযায়ী শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করান তাঁরা। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই ডেঙ্গু (Dengue) সংক্রমণ নিয়ে সাংসদের স্বামী ও সন্তানকে শ্রীরামপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। সাংসদের রিপোর্ট নেগেটিভ। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল নয়। তাই আরও একবার রক্তপরীক্ষা করার কথা ভাবছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ফের ‘মানবিক’ অভিষেক, ছোট্ট মেয়ের চোখে অদ্ভুত চশমা দেখে নিলেন চিকিৎসার দায়িত্ব]
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। প্রতিদিন বহু মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। সম্প্রতি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গিয়েছে বছর বিয়াল্লিশের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সহকারী সুপার অনির্বাণ হাজরার। আচমকা ১৬ হাজারের নিচে নেমে যায় তাঁর প্লেটলেট। তারপরই শুক্রবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ রয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্তের প্লেটলেট কমে যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এছাড়া শরীরের একাধিক অঙ্গকে কাবু করে ডেঙ্গুর ভাইরাস। কারও মস্তিষ্কে রক্তপাত হচ্ছে। কারও রক্ত জমাট বেঁধে বিকল হয়েছে হৃদপিণ্ড। এমন পরিস্থিতিকে রীতিমতো বিপজ্জনকই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সামান্য উদাসীনতায় জীবনও কাড়তে পারে ডেঙ্গু। মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত হলেও রাজ্য সরকার উদাসীন বলেই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, মহানগরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে।