নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার ঠাকুরপল্লি এলাকায়। প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিলে বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় সদ্যোজাতের দেহ। ইতিমধ্যেই মৃত শিশুর মাকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মেয়ে হওয়ার কারণেই শিশুটিকে খুন করে ওই দম্পতি।
[আরও পড়ুন: সংসারে অভাব, গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীকে মাথা থেঁতলে খুন!]
জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগে বনগাঁর ঠাকুরপল্লি এলাকার বাসিন্দা সুবোধ সরকারের বাড়িতে ভাড়া যায় দীপঙ্কর ও মনীষা সরকার। প্রথম থেকেই ওই দম্পতির আচরণ অদ্ভুত ঠেকছিল স্থানীয়দের কাছে। ওই মহিলাকে দেখে অনেকেই অনুমান করেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। কৌতুহলবশত স্থানীয়রা জিজ্ঞেসও করেন৷ কিন্তু কোনওদিন এবিষয়ে কাউকে কোনও জবাব দেননি ওই দম্পতি। বরং স্ত্রী’র শারীরিক পরিবর্তনের আসল কারণ লুকোতে প্রতিবেশীদের একেকরকম গল্প শোনায় দীপঙ্কর। বলা হয়, মনীষাদেবীর পেটে টিউমার হয়েছে। সেকথাই বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন সকলেই। এরপর সোমবার ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে বাচ্চার কান্নার শব্দ পায় প্রতিবেশীরা। তাঁদের ঘরে গেলে রক্ত দেখতে পান স্থানীয়রা। অভিযোগ, এরপর টিউমার অপারেশনের নামে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভরতি করে দীপঙ্কর।
এর কয়েকদিন পর বুধবার রাত থেকে ওই দম্পতির বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে থানায় খবর দিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে হাজির হন স্থানীয়রা।এরপর ঘরময় তল্লাশি চালিয়ে কড়িবরগা থেকে একটি কাপড়ের পুঁটলি পায় পুলিশ। সেটির মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয় সদ্যোজাতের দেহ। এরপরই মনীষাকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি দীপঙ্করের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই সদ্যোজাতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের অনুমান, কন্যাসন্তান হওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে স্বামী, স্ত্রী দু’জনে মিলে। কিন্তু কেন প্রথম থেকে স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সকলের কাছে গোপন রাখছিলেন ওই দম্পতি, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
[আরও পড়ুন: আস্থা ভোটে পরাজয়, ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান পদ হারালেন সৌমিক হোসেন]
The post অবাঞ্ছিত কন্যাসন্তান! খুনের পর ঘরেই সদ্যোজাতের দেহ লুকিয়ে রাখল দম্পতি appeared first on Sangbad Pratidin.
