দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নববর্ষের শুরুতেই বিপাকে সুন্দরবনে (Sunderban) বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। জঙ্গলে প্রবেশ করার অনুমতি না মেলায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন সেখানকার লঞ্চ, ফেরি পরিষেবা (Ferry Services) প্রদানকারী মালিক ও কর্মচারীরা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জলযান পরিষেবা। ফলে নতুন বছরে সুন্দরবনে গিয়ে ঘুরতে যেতে পারছেন না পর্যটকরা (Tourists), হোটেলেই আটকে পড়েছেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যতক্ষণ না জেলা পরিষদের অফিস থেকে জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতিপত্র মিলবে, ততক্ষণ তাঁরা পরিষেবা বন্ধ রাখবেন।
জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) তরফ থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে বোট চলাচলের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। তা দেখালে তবেই জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতিপত্র পাওয়া যায়। ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে সেই শংসাপত্রের মেয়াদ। অথচ বহু বোট এখনো জেলা পরিষদের সেই শংসাপত্র পায়নি। ফলে মিলছে না জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতি। মূলত বোটমালিকদের দাবি, জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতিপত্র দিতে হবে জেলা পরিষদ থেকে। নাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এমন বিক্ষোভ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অবসর গ্রহণের পরই নতুন দায়িত্বে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, আর্থিক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর]
সোমবার সকাল থেকেই সুন্দরবনের পাখিরালাতে শুরু হয়েছে বোটমালিকদের বিক্ষোভ। জলযানগুলো সব বন্ধ রয়েছে। আটকে পড়ছেন হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন কয়েকশো বোট, লঞ্চ। সুন্দরবনে ভরা পর্যটন মরশুমে এমন বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় বিপদে পড়েছেন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক। তাঁরা আটকে পড়েছেন পাখিরালায় ও দয়াপুরের বিভিন্ন হোটেল ও বোটগুলিতে। এনিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ”কয়েকটি বোট জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতিপত্র পায়নি। আমি নিজে জেলা পরিষদের অফিসে কথা বলেছি। জানিয়েছি যে ওদের যদি ২,৩ দিনের জন্য জঙ্গলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়, ভালো হয়। এখন গঙ্গাসাগর মেলার জন্য আমরা সবাই ব্যস্ত। সেই কারণেই এই অনুমতিপত্র সময়মতো দেওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে যাতে দ্রুত তা দেওয়া যায়।”
দেখুন ভিডিও: