স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুয়ারে হিন্দুত্ব কর্মসূচি শুরু করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। আর ভিএইচপি-র এই কর্মসূচি নিয়ে পাল্টা তোপ দাগল শাসকদল। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে ধর্মের ইস্যু তুলে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাচ্ছে ভিএইচপি।
গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি নিয়ে তোপ দেগে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বক্তব্য, ‘‘ওদের শূন্য কলসি। ভাঁড়ে মা ভবানী। কিছু নেই তাই বেশি আওয়াজ করছে। স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণদেব, বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের আদর্শ নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার দুয়ারে সরকার ও পরিষেবাকে পৌঁছে দিয়েছে। নবান্নকে মানুষের দরজায় নিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরেপক্ষতাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল।’’
[আরও পড়ুন: লটারি কাণ্ডের তদন্তে তৎপর CBI, অনুব্রতকে জেরা করতে আসানসোল জেলে আধিকারিকরা]
এদিকে শুক্রবার তারাপীঠ মন্দিরে পুজোর মধ্যে দিয়ে ‘হিতচিন্তক’ নামে অভিযানের সূচনা করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ৬ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই ‘হিতচিন্তক’ অভিযান। সদস্য সংগ্রহ করতে বাড়ি বাড়ি অভিযান করবে ভিএইচপি। সংগঠনের এক কার্যকর্তা জানান, ‘হিতচিন্তক’ অভিযান প্রতি তিন বছর পর্যন্ত হয়। এটা জনসম্পর্ক অভিযান। হিন্দু বাড়ির দরজায় গিয়ে জনসম্পর্ক করা হয়।
[আরও পড়ুন: অন্য নারীতে মজে স্বামী, পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’
ভিএইচপি-র এই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘বাংলায় যারা হিন্দু তারা সনাতন ধর্মের আদর্শ নিয়ে চলে। তারা স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণদেবের হিন্দুত্বে বিশ্বাসী। তারা আরএসএস-বিজেপির (RSS-BJP) শেখানো হিন্দুত্বে চলে না।’’ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (Shantanu Sen) বক্তব্য, ‘‘ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ করাই বিজেপির অ্যাজেন্ডা।’’ এদিকে, ‘‘রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর (Shamik Bhattacharya) বক্তব্য, ভিএইচপি আন্দোলন করবে তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কী আছে?’’