নন্দন দত্ত, বীরভূম: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল বিশ্বভারতী। জমি নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে নোটিস পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যার ফলে নতুন করে তৈরি হয় বিতর্ক। যদিও কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেই নোটিস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের জমি জট নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বোলপুরে ‘প্রতীচী’ অর্থাৎ অর্মত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন নোবেলজয়ীর। তার জল গড়িয়েছে বহুদূর। বিশ্বভারতীর তরফে আপত্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তার কয়েকদিন পেরতে না পেরতেই ফের জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনকে নোটিস পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতে ২ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যেই জমির সীমানা নির্দিষ্ট করার দিনক্ষণ জানতে চায় বিশ্বভারতী। যৌথভাবে জমি জরিপের কথাও বলা হয়েছিল নোটিসে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে স্পষ্টভাবে কারণ কিছু জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘হাওড়ার ম্যানচেস্টারকে ধ্বংস করেছে বামেরা’, শিল্পে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর]
চিঠি প্রত্যাহার করা হলেও এদিনের ঘটনায় স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও মোটের উপর নিজেদের অবস্থানে অনড় তাঁরা। তবে এবার এবার জমি মেপে সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে। কারণ, অমর্ত্য সেনের বাড়িতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বিশ্বভারতী ভুল কথা বলছে। অমর্ত্য সেনের দাবিই সঠিক। জমির বেশ কিছু নথি নোবেলজয়ীর হাতে তুলে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। তারপরই পালটা দিয়েছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন। এরপরই বিশ্বভারতীর তরফে বিবৃতিতে নজির বিহীনভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল মমতাকে।