সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সুপারের 'অপদার্থতায়' কাউন্সিলর খুন হয়েছেন বলেই দাবি তাঁর। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবারই মালদহে যান ফিরহাদ হাকিম। নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মালদহে ফিরহাদ হাকিম। ছবি: হরেন চৌধুরী
নতুন বছরের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, "তোমার ওখানে এসপির অপদার্থতার জন্য আমার এক কর্মী আজ মার্ডার হয়ে গেল। ওখানে বিএসএফ বর্ডার দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। আপনাদের দিক থেকে কেন কোনও প্রতিবাদ হয়নি! আপনারা কী করছেন?" এই ঘটনায় X হ্যান্ডেলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নিহত দুলাল ওরফে বাবলা সরকার, ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার সকালে দুলালবাবু তাঁর নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করেন। গাড়ি থেকে নামামাত্রই কাউন্সিলর দৌড়ে তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরা ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়।
ইংরেজবাজারের নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার। ছবি: হরেন চৌধুরী
কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। বাইকে চড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মাথা এবং পিঠে গুলি লাগে তৃণমূল কাউন্সিলরের। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে পথেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের। এই ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তদের ধরপাকড়ের চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।