সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রাম নিয়ে টানাপোড়েন যেন থামছেই না। সতেরো রাউন্ডের গণনা শেষে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ১২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে খবর আসে নন্দীগ্রামে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে গণনা বন্ধ আছে। তার পরই গণনাকেন্দ্র সূত্রে খবর মেলে, ১৯৫৩ ভোটে জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “নন্দীগ্রামের মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। তবে আমি আদালতে যাব।” নন্দীগ্রামে কে জিতেছেন, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, আপাতত গণনা স্থগিত রাখা হয়েছে সেখানে। পুনর্গণনা হবে কি না চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং অফিসার।
একুশের ভোটের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। কে জিতবেন তার দিকে নজর ছিল সকলের। এদিন সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এগিয়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হয় তিনি জিতে গিয়েছেন। যদিও সন্ধে হতেই হিসেব ফের বদলে যায়। এর পিছনে নির্বাচন কমিশনের কারচুপি দেখছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, “কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। গণনায় কারচুপি করা হয়েছে। জয়ী ঘোষণা করার পরও ফল বদলানো হয়েছে। সেই কারচুপি কী, আমি খুঁজে বের করব। আদালতে যাব।” তিনি আরও জানান, “নন্দীগ্রামের মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। ভালই হল, আমাকে রোজ ওতদূরে যেতে হবে না।”
[আরও পড়ুন: বাংলার রাজনীতি থেকে ‘ভ্যানিশ’ বামেরা, গড় হারালেন অধীরও]
যদিও এখনই দলনেত্রীর ‘হার’ মেনে নিতে রাজি নয় দল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, “নন্দীগ্রামের গণনা শেষ হয়নি। দয়া করে এখনই কিছু রটাবেন না।” তাঁদের তরফে পুনর্গণনার দাবি জানানো হয়েছে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করেন মমতা। জানিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এবার বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
[আরও পড়ুন: ‘আমার নাম অনুব্রত, আমাকে আটকানো মুশকিল’, বীরভূমে ভয়ংকর খেলা দেখিয়ে হুঙ্কার কেষ্টর]
এদিকে নন্দীগ্রামের ফল প্রকাশ্যে আসার পরই টুইট করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন। হেরে যাওয়ার পরও কি তাঁর আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার নৈতিক অধিকার থাকে?”