স্টাফ রিপোর্টার: সুস্বাদু পেয়ারা কিংবা চিনির মতো মিষ্টি লিচু বা রসালো জামরুল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ফলের কদর গোটা দেশ জুড়ে। সেই লিচু-পেয়ারা-জামরুলের জন্য ‘জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন’ বা ‘জিআই’ ট্যাগ পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে নবান্ন। বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন রাজে্যর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। বারুইপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সরদারের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা তিনি জানান। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম কুটিরশিল্প পরিবেশবান্ধব সবুজ আতশবাজিতেও ‘জিআই’ ট্যাগ পেতে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বারুইপুরে লিচু-পেয়ারা নিয়ে যখন বিধানসভায় এই আলোচনা চলছে, তখন সভা পরিচালনা করছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে যিনি নিজেও বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক। আলোচনায় অংশ নিয়ে রসিকতার সুরে অধ্যক্ষ মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘শুধু আবেদন করে পিটিশন নম্বর জানিয়ে কাজ সারলে হবে না। জিআই ট্যাগ নিয়ে আসতে হবে। আমরা বারুইপুরের মানুষ তখন আনন্দে গোটা বিধানসভাকে লিচু আর পেয়ারা খাওয়াব!’’
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল আটক, লাঠি নিয়ে স্কুলে চড়াও পড়ুয়ারা, মৃত্যু অস্থায়ী কর্মীর]
কয়েক বছর আগে রাজ্যে জৈব প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশে কলকাতায় বায়োটেক পার্ক স্থাপনের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই বায়োটেক পার্ক স্থাপনের প্রসঙ্গে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান হুগলির গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। জবাবে উজ্জ্বলবাবু জানান, এই পার্ক গঠনের কাজ শেষ। ইতিমধ্যে ছটি সংস্থা সেখানে জমি নিয়ে উৎপাদন শুরু করেছে। যাতে প্রত্যক্ষভাবে ৪৬ জনের ও পরোক্ষভাবে আরও প্রায় ৫০০ ব্যক্তির কর্মসংস্থান হয়েছে।
মালদহে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর ভাঙন দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। বেশ কয়েক হাজার মানুষ এই ভাঙনে জমি-বাড়ি হারিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে এই দুই নদীর ভাঙন রোধে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান মালদহের বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা। জবাবে রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, নিয়মিত কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানে কংক্রিটের বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে সব মিলিয়ে ২৬.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। হুগলির পাণ্ডুয়ার তৃণমূল বিধায়ক রত্না দে নাগের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিজ বিপণন দফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, রাজ্যজুড়ে নতুন ৭০টি ‘সুফল বাংলা’-র বিপণন কেন্দ্র গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।