ধীমান রায়, কাটোয়া: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) প্রচারে গিয়েছিলেন বিধায়ক। গ্রামের একটি রাস্তা এখনও ঢালাই না হওয়ায় বর্ষায় কাদায় ভরে রয়েছে। গ্রামবাসীদের আবদার মেনে কাদার উপর দিয়ে হেঁটে প্রচার করলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। শনিবারের এই ঘটনায় ভাতারের নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের কালুত্তক গ্রামে বেশ হইচই শুরু হয়ে যায়।
শনিবার সকালের দিকে ভাতারের নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েতের কালুত্তক গ্রামে ভোটপ্রচারে যান ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের প্রার্থীরা। কালুত্তক গ্রামের অন্যান্য পাড়ায় ভোটপ্রচার সেরে ৬০ নম্বর সংসদ এলাকার স্কুলপাড়ায় যান। কিন্তু এই পাড়ার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিধায়ক যাওয়ার পর তাঁর কাছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য নালিশ জানান। তাঁদের অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে বারবার বলা সত্বেও রাস্তার কাজ হয়নি।
[আরও পড়ুন: পদ্মফুলের সোনালির মুখে জোড়াফুলের স্লোগান! শোরগোল নদিয়ায়]
গ্রামবাসীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। পাড়ার বেশ কয়েকজন মহিলা জড়ো হয়ে যান। তাঁদের মধ্যে দু-একজন মহিলা কিছুটা মজাচ্ছলেই বিধায়কের সামনে গিয়ে বলেন,”দেখুন স্যার, এই রাস্তায় হাঁটা যায়? আপনি এই কাদায় হাঁটতে পারবেন? মানগোবিন্দ অধিকারী তাঁদের বলেন, “দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে আপনাদের গ্রামে ঘুরে যাওয়ার পর এই রাস্তার কাজের জন্য এস্টিমেট তৈরি করে জেলা পরিষদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন পর্ব মিটে গেলেই কাজ শুরু হবে।”
তারপরেই বিধায়ক পালটা মজা করে বলেন,” এককালে আমি ফুটবল খেলতাম। এখনও কাদায় কাদায় মাঠে চাষের কাজে যাই। তাহলে কেন কাদায় হাঁটতে পারব না?” বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী কালুত্তকের স্কুলপাড়ার রাস্তায় কাদার উপর দিয়েই হেঁটে হেঁটে আসেন। দলের কর্মীদেরও অগত্যা নেতার সঙ্গে কাদায় হাঁটতে হয়। মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে যা উন্নয়ন করেছেন তাতে দু-চারটি ছাড়া কোনও গ্রামের আর কাঁচা রাস্তা নেই। কালুত্তক গ্রামের স্কুলপাড়ার ৫৬০ মিটার রাস্তার এস্টিমেট আগেই হয়ে আছে। কাজও ভোটের পর হয়ে যাবে।”