সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের জের। রাজ্যের ছ’টি জেলার প্রায় ৫০০ ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রল পাম্পের (Petrol Pump) মধ্যে অন্তত আড়াইশোটিই তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শহর কলকাতাতেও (Kolkata)। ফলে টাকা দিয়েও মিলছে না জ্বালানি।

হাওড়ার মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের (Indian Oil) ডিপোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে নেমেছে ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠন। তার জন্যই ৬ জেলার বহু জায়গায় অমিল জ্বালানি। কলকাতাতেও গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে সাতসকালে সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চললে এই সংকট আরও বাড়ার সম্ভাবনা রীতিমতো চিন্তা বাড়াচ্ছে। যাঁরা ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন, তাঁদের দাবি, ইন্ডিয়ান অয়েল তাঁদের টেন্ডারে পরিবহণ খরচ অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে। সেই কারণেই প্রতিবাদে নেমেছেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার থেকেই মৌরীগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপো থেকে পেট্রল, ডিজেল তুলে বেরোয়নি কোনও ট্যাঙ্কার। ফলে বহু পেট্রল পাম্পই তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। এভাবেই ধর্মঘট চলতে থাকলে জ্বালানি পেতে ভোগান্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির জের, ২০২২ সালের Higher Secondary’র পাঠ্যক্রমে কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত]
এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও। তাদের দাবি, প্রায় ৬০টি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহি ট্যাঙ্কারকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ভাড়াও কমিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতেই দেখা দিয়েছে সমস্যা। তাই দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পেট্রল পাম্পগুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ থাকলে কলকাতা এবং হাওড়ায় দ্রুত তেলের সঞ্চয় ফুরতে শুরু করবে। এরই মধ্যে আবার একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। রয়েছে করোনার চোখ রাঙানিও। ফলে জ্বালানির অভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে গণপরিবহণ ব্যবস্থা। তাই সবমিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠার সম্ভাবনাই প্রবল।