সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে মুর্শিদাবাদ। প্রভাব পড়েছে মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এবার সেই হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর কথায়, দাঙ্গাবাজদের একটাই দাওয়াই লাঠি। যারা অশান্তি ছড়াচ্ছে তারা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। তারপরেও তাদের শান্তির দূত বলছে রাজ্য সরকার, এমনই কটাক্ষ যোগীর।

ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন চলছে। হিংসাত্মক হয়েছে সেই বিক্ষোভ। প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, "বাংলা জ্বলছে। দাঙ্গাবাজদের একটাই দাওয়াই ডান্ডা।" একথা বলতে গিয়ে হিন্দি প্রবাদ তুলে যোগী বলেন "লাথো কা ভূত বাতো সে কাঁহা মাননেওয়ালা হ্যায়।" তাঁর অভিযোগ, "ধর্মনিরপেক্ষতার নামে তারা দাঙ্গাবাজদের স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। এই নৈরাজ্য বন্ধ হওয়া উচিৎ। যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদেরই শান্তির দূত বলে আখ্যা দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।" মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে ইন্ডিয়া জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং সমাজবাদি পার্টি চুপ কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন যোগী। বাংলাদেশের অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন আদিত্যনাথ। বলেন, "তারা হুমকির পর হুমকি দিচ্ছে। ওরা (কংগ্রেস এবং সমাজবাদি পার্টি) নির্লজ্জভাবে বাংলাদেশের অশান্তিকে সমর্থন করে গিয়েছে। বাংলাদেশকে যদি এতই পছন্দ করেন, তাহলে ওখানেই চলে যান না। ভারতের বোঝা বাড়াচ্ছেন কেন?"
ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদের নামে ‘গুন্ডামি’ শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নবাবের জেলা। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই অশান্তির সময় সামশেরগঞ্জে বাড়ি থেকে টেনে এনে বাবা-ছেলেকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আঁচ পড়ে মালদহ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার আবেদন করেছেন, "গুজবে কান দেবেন না। শান্তি বজায় রাখুন।" তবে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। এমন পরিস্থিতিতে উর্দিধারীদের কড়া অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিলেন যোগী। তবে ওয়াকফ অশান্তির আঁচ শুধু বাংলায় নয়, বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা, অসম, উত্তরপ্রদেশেও হিংসা হয়েছে।