জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: অনুষ্ঠান বাড়িতে অনেক বেশি পরিমাণে মাছ, মাংস-সহ জিনিসপত্র লাগবে। সেই মতো বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটাও শুরু করেন যুবক। পরে অন্য দোকানে টাকা মেটানোর জন্য আরেক ব্যবসায়ীর থেকেই কিছু টাকা চেয়ে নেন। বিশাল পরিমাণ জিনিস কেনা হচ্ছে দেখে ব্যবসায়ীও খুব একটা অবিশ্বাস করেননি। আর সেই টাকা নিয়েই চম্পট যুবকের। এক-দুজন নয়, বাজারের একাধিক বিক্রেতার সঙ্গেই এই প্রতারণা হয়েছে বলে খবর।
অনুষ্ঠান বাড়ির নাম করে বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে ২০ কেজি মাছ কেনার কথা বলেছিলেন যুবক। ওই বাজারের মাংসের দোকানেও একইভাবে মাংস নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু জিনিস নেওয়া তো কোন ছাড়? তাঁদের থেকেই টাকা হাতিয়ে চলে গিয়েছেন তিনি। স্থানীয় এলাকাতেই ওই যুবক থাকেন বলেও তিনি বিক্রেতাদের কাছে জানানো হয়। কিন্তু সেই কথাও ডাহা মিথ্যা। এমন ঘটনাই ঘটেছে বনগাঁ নিউমার্কেট ও গোপালনগর বাজারে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে মাছ, সবজি, মাংসের দোকানে এসে ওই যুবক হাজির হন। বনগাঁর নিউ মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী প্রতাপ বিশ্বাসের এভাবে তিন হাজার টাকা চোট গিয়েছে। সবজি ব্যবসায়ী টনি কুণ্ডুর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়ে যান ওই যুবক। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কিনবেন বলে ওই যুবক জিনিসপত্র ওজন করাচ্ছেন। তারপর অন্য দোকানে কিছু টাকা মেটানোর জন্য যেমন যা পেয়েছেন নিয়ে চম্পট দিয়েছেন। গোপালনগর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ীর থেকে এক হাজার ও আড়াই হাজার টাকা খোওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অনেক পরে এই প্রতারণার কথা জানাজানি হয় বাজার এলাকায়। বেশ কয়েক হাজার টাকা কিছু সময়ের মধ্যে প্রতারণায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙার বাজারেও একই কায়দায় প্রতারণা হয়েছে। বাজারের সিসিটিভিতেও ওই যুবককে দেখা গিয়েছে। আশপাশের এলাকাতেও তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক থাকে ক্রেতাদের। সেখানে নতুন করে অবিশ্বাস তৈরি হল বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। থানায় এই বিষয়ে লিখত অভিযোগ করা হবে বলেও খবর।