সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানে হেডফোন গুজে রেললাইন পার হওয়ার চরম মাশুল দিতে হল যুবককে। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তাঁর। শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনের কাছে দাসপাড়া সংলগ্ন এলাকায়। মৃতের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
[শহরে চালকহীন মেট্রোর রেক, ঝাঁ চকচকে কোচে স্বপ্নের সফর]
পুলিশ ও আশেপাশের লোকজন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভ্যাবলা স্টেশনের দিক থেকে চাঁপাপুকুরের দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। ঠিক তখনই তীব্র গতিতে ছুটে আসছিল হাসনাবাদ লোকাল। বারাসত থেকে হাসনাবাদের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কানে হেডফোন লাগানো অবস্থাতেই রেললাইন পার হচ্ছিল যুবকটি। ট্রেনের চালক বহুবার হর্ন দিয়েছিলেন। আশেপাশের লোকজনও প্রচুর চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। কিন্তু কানে হেডফোন থাকায় এবং সম্ভবত তাতে জোরে গান চলতে থাকায় যুবক কোনও সাবধানবাণীই শুনতে পাননি। দ্রুত গতিতে চলতে থাকা হাসনাবাদ লোকাল তাঁকে চোখের পলকে উড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ। তবে ততক্ষণে সবকিছু শেষ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।
[বেড়াতে গিয়ে মাঝ নদী থেকে উধাও যুবক, সুন্দরবনে ঘনাল রহস্য]
রেল পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। তবে যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। আপাতত তাঁর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধাক্কায় ফোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা ঠিক করে সেখান থেকেই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
কানে হেডফোন গুজে রাস্তায় চলার ফলে মৃত্যুর এই ঘটনা নতুন নয়। গত বছরের নভেম্বর মাসেই উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছি স্টেশনের কাছে এক স্কুলছাত্রীর এভাবেই মৃত্যু হয়। শিয়ালদহের দিকে যাচ্ছিল ডাউন দত্তপুকুর লোকাল। তারও কানে ছিল হেডফোন। ফলে ট্রেন একাধিকবার হর্ন দিলেও সে শব্দ শুনতে পায়নি স্কুলপড়ুয়া। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তার। ঘটনায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শনিবারের ঘটনাতেও হাসনাবাদ লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
[কন্যাশ্রীর টাকা বাঁচিয়ে শৌচালয়, পথ দেখাল মুর্শিদাবাদের সাবিনা]
The post কানে হেডফোন, হাসনাবাদ লোকালের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের appeared first on Sangbad Pratidin.
