সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার হিমাচল প্রদেশের মানালি থেকে লাহুল-স্পিতি উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত ৯.০২ কিমি দীর্ঘ অটল টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৈরি হল ইতিহাস। দশ হাজার ফুট উচ্চতায় বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেলের নাম এখন ‘অটল টানেল’। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামেই নামাঙ্কিত করা হয়েছে এই সুড়ঙ্গপথের।
রোটাং পাসে এই টানেল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল স্বাধীনতার পরই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হতে শুরু করে নয়ের দশকে। ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় শাসনকালে এই টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। অবশেষে ২০২০ সালে তা খুলে দেওয়া হল সাধারণ মানুষের জন্য।
[আরও পড়ুন: টলাতে পারেনি পুলিশি বাধা! আজ ফের হাথরাসের পথে রাহুল, যেতে পারেন অখিলেশও]
প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কেপি পুরুষোত্তম জানিয়েছেন, এই টানেল ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই টানেলের ফলে মানালি থেকে লে-র মধ্যে দূরত্ব ৪৬ কিমি কমে যাবে। পাশাপাশি যাতায়াতের সময়ও কমবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, অশ্বক্ষুরাকৃতি এই টানেলের ভিতরে রয়েছে দুই লেনের রাস্তা। দু’দিকে রয়েছে ফুটপাত। এই টানেল দিয়ে দৈনিক ৩ হাজার চারচাকার গাড়ি ও দেড় হাজার ট্রাক যেতে পারবে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিমি গতিতে।
[আরও পড়ুন: বিজ্ঞানীদের আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক, ‘বৈভব’ সামিট উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদির]
অটল টানেলে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। টানেলের ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে রয়েছে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার। যাচাই করে দেখা হবে বাতাসের মান। অগ্নি নির্বাপণের জন্য থাকছে জলের পাইপলাইন। পাশাপাশি প্রতি ৫০ মিটার অন্তর ফায়ার রেটেড ড্যাম্পারও বসানো থাকবে। এছাড়া প্রতি ২৫০ মিটার অন্তর থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। যার সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে টানেলের ভিতরে।
এই টানেলের ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে সেনার। এর মধ্যে দিয়ে লাদাখ পর্যন্ত সহজেই পৌঁছনো যাবে। অস্ত্রশস্ত্র ও খাদ্য অনায়াসেই পৌঁছে দেওয়া যাবে সীমান্তে। ফলে একদিকে মানুষের যাতায়াতের সুবিধা অন্য দিকে জাতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ— নিঃসন্দেহে অটল টানেলের তাৎপর্য অসীম।
The post আত্মনির্ভর ভারতের নয়া দৃষ্টান্ত ‘অটল টানেল’! এবার নিমেষে লাদাখ পৌঁছবে সেনার অস্ত্রশস্ত্র appeared first on Sangbad Pratidin.