কৃষ্ণকুমার দাস: কোভিডের ভ্যাকসিন (Vaccine) গবেষণায় নিরলস পরিশ্রম করার স্বীকৃতি হিসাবে আন্তর্জাতিক সম্মান পেলেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ডাঃ সারা গিলবার্টের টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে কাজ করা ওই বঙ্গতনয়া হলেন গলফ গ্রিনের বাসিন্দা ডঃ চন্দ্রাবলি দত্ত। লন্ডনেরই ‘আই-গ্লোবাল’ সংস্থার তরফে বর্ষসেরা ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন’ সম্মান রবিবারই ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চের জুরিরা ভারতীয় সময় বিকেল ৪.১৫ মিনিটে এক ভারচুয়াল মঞ্চে এই পুরষ্কার বিজয়ীর নাম জানান।
প্রতি বছর দীপাবলির আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অনাবাসী ও প্রবাসী ভারতীয়দের পাঁচটি বিভাগে অবদানের জন্য এই সম্মান দেওয়া হয়। অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্টদের মতামতের পাশাপাশি ভোটও নেওয়া হয়। অন্যবছর এই পুরষ্কার দেওয়া হয় লন্ডনের বিখ্যাত ট্রাফলগার স্কোয়ারের মঞ্চে। একাধিকবার ‘আই-গ্লোবাল’-এর অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও এসেছেন। কিন্তু এবছর কোভিডের জেরে অনুষ্ঠানটি ভারচুয়াল হল। এবছর অনলাইন ভোটের পাশাপাশি জুরিদের মতেও সর্বসম্মতভাবে বিরল সম্মানটি পেলেন করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণায় যুক্ত একমাত্র ভারতীয় বিজ্ঞানী চন্দ্রাবলি। এমন সম্মান প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত বঙ্গতনয়া লন্ডন থেকে ফোনে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে জানালেন, “গবেষণার কাজ তো অনেকেই করেন, কিন্তু আমি অক্সফোর্ডে ডাঃ গিলবার্টের টিমের সদস্য হিসাবে কাজ করতে পেরে বাঙালি তথা ভারতীয় হিসাবে গর্বিত।” করোনা ভ্যাকসিনটি দ্রুত মানবকল্যাণে কাজে লাগলে তবেই পুরষ্কার পাওয়া যথার্থ হবে বলে মনে করেন বাঙালির গর্ব এই অক্সফোর্ড (Oxford) বিজ্ঞানী।
[আরও পড়ুন: টার্গেট ২০০ আসন, একুশের ব্লু-প্রিন্ট সাজাতে অমিত শাহর সফরের পরই দিল্লিতে মুকুল, দিলীপ]
এদিনও তিনি ফের জানান, জানুয়ারির মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ভারতে পৌঁছে যাবে। চন্দ্রাবলির এমন এক আন্তর্জাতিক সম্মান প্রাপ্তি তাও আবার করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণায় যুক্ত থাকার জন্য তাঁর গোখেল মেমোরিয়ালের সহপাঠী ও কলকাতার বন্ধুরাও উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত। আর গলফ গ্রিনের ফ্ল্যাটে বসে ল্যাপটপে অনেক কষ্টে ওয়েব পেজ খুলে এই প্রথম আন্তর্জাতিক মঞ্চে মেয়ের সম্মানপ্রাপ্তি দেখেছেন বাবা সমীর দত্ত ও মা কাবেরী দত্ত। যখন পুরষ্কার ঘোষণা হয়েছে তখন আর কেউই চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি দু’জনে। সমীরবাবু জানান, “গবেষণার জন্য সব কিছু ছেড়ে দিয়ে বিদেশে একা থাকে মেয়েটি। এই সম্মান রেমিকে (ডাক নাম) আরও কঠিন পরিশ্রম করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”