সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল খোদ কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার জানান, তাঁর বাড়ির কলেও জল নেই! বাধ্য হয়ে জল খরচে রাশ টানতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। এ থেকে স্পষ্ট যে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরের সাধারণ মানুষ কেমন আছেন। সেই চিত্র সামনে এল বৃহস্পতিবার। এদিন জানা গিয়েছে, এক ‘বালতি’ জল কিনতে শহরবাসীকে গুনতে হচ্ছে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা অবধি। সব মিলিয়ে জলের জন্য হাহাকার বাড়ছে ‘টেক সিটি’তে।
গত কয়েক দিন ধরেই জলসংকটে ভুগছে বেঙ্গালুরু। শহরের অধিকাংশ নলকূপ শুকিয়ে কাঠ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই যাতে জলের অপচয় না হয়, সেই বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন শহরের আবাসন কমিটিগুলো। নোটিস জারি করে বলা হয়েছে, দিনে ২০ শতাংশ জলের খরচ কম করতে হবে। ‘নিয়ম’ না মানলে ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে ভাত চেয়ে কী পেলেন শাহজাহান? সিবিআইয়ের খাঁচায় কেমন আছেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’?]
বিভিন্ন এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি, পাড়ায় জলের ট্যাঙ্কার এলেই হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। অনেকেরই অভিযোগ, খবর পাওয়ার আগেই খালি হচ্ছে ট্যাঙ্কার। দীর্ঘ লাইনের পিছন দিকে থাকলেও বিপদ হচ্ছে। এই অবস্থায় পকেট খসিয়ে খাওয়ার জলের ব্যবস্থা হলেও স্নানের জল মিলছে না। নাগরিকদের অভিযোগ, গত তিন মাস ধরেই জল নিয়ে সমস্যা চলছে। গত কয়েক দিন তা চরম আকার ধারণ করেছে। যদিও শহর প্রশাসনের দাবি, সাধ্য মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। নাগরিকদের সাহায্যের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, দেশের ৪১২টি পঞ্চায়েতে এবং ৯৮টি তালুকে জলসংকট চলছে। ১৭৫টি গ্রামে ২০৪টি জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্দারামাইয়ার দাবি, রাজ্যের পাওনা ১৮, ৭১২ কোটি টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। ফলে রাজ্যের জরুরি প্রকল্পগুলির কাজ আটকে যাচ্ছে।