সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজ্ঞানের কুফল! ফের ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানোর খবর উঠে এল শিরোনামে। এবার জালে পা পড়ল বেঙ্গালুরুর ৩৯ বছর বয়সি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের। কোনও কিছু বোঝার আগেই দফায় দফায় খোয়ালেন প্রায় ১১.৮০ কোটি টাকা। তথ্য প্রযুক্তি আইন ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন ওই ব্যক্তি। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পুলিশকে জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে ট্রাইয়ের অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন। বলেন, ওই ইঞ্জিনিয়ারের আধার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত সিম কার্ডের সাহায্যে হয়রানিমূলক বার্তা ও বেআইনি বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে মুম্বই কোলাবা সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ, দ্বিতীয়বার আরও একটি ফোন আসে প্রতারিত ব্যক্তির কাছে। এবার সেই ফোনের উলটো পারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তাঁর আধার কার্ড ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক তছরুপ করা হচ্ছে। সেই মর্মে একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। প্রতারিত ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি দেওয়া হয়, ভারচুয়াল তদন্তে সাহায্য না করলে সশরীরে গ্রেপ্তার করা হবে।
তৃতীয় দফার ফোনে স্কাইপি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। তারপর এক ব্যক্তি মুম্বই পুলিশের উর্দি পরে স্কাইপি ভিডিও কলে বলেন, এক ব্যবসায়ী তাঁর আধার কার্ড ব্যবহার করে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ কোটি টাকার লেনদেন করেছে। সেই মর্মে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এরপর ২৫ নভেম্বর ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আরও একটি কল আসে। সেখানেও মুম্বই পুলিশের উর্দি পরিহিত পুলিশ কর্তার পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাঁকে ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এই সময়ের মধ্যে ওই অভিযোগকারীকে তথ্য ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা দিতে হবে বলে জানায় প্রতারকরা। গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে ইঞ্জিনিয়ার দফায় দফায় ১১.৮ কোটি টাকা দিয়ে দেন। এত টাকা দেওয়ার পরও ফের প্রতারকরা আরও টাকা দাবি করায় তাঁর সন্দেহ হয়। পুলিশের কাছে গিয়ে বিষয়টি খোলসা করেন তিনি। তারপরই অভিযোগ দায়ের করেন ইঞ্জিনিয়ার। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।