সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইন আছে। অভাব নেই প্রচারের। তবুও হেলমেট পরা নিয়ে আলসেমি যাচ্ছে না বাইক আরোহীদের একাংশের। বেয়াড়া চালকদের শোধরানোর দায়িত্ব যাদের তাদেরও বিড়ম্বনার শেষ নেই। হেলমেট না পরার নানা অজুহাত শুনতে শুনতে ট্রাফিক কর্মীরাও ক্লান্ত। এই একঘেয়েমির মধ্যেও অন্যরকম স্বাদ খুঁজে নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক ট্রাফিক আধিকারিক। হেলমেট আটকাতে ট্রাফিক পুলিশের যন্ত্রণা নিয়ে চার লাইনের কবিতা লিখেছেন অভিষেক গোয়েল। টুইটারে তাঁর পোস্টটি এখন সুপারহিট। তাঁর পোস্টটি শেয়ার হচ্ছে ঝড়ের গতিতে।
[এই তো অবস্থা! বাইক আরোহীর কাণ্ড দেখে হাতজোড় পুলিশের]
বেঙ্গালুরুর ডিসিপি ট্রাফিক অভিষেক গোয়েলের ইংরেজিতে লেখা কবিতাটা একেবারে সমকালীন। এমন কী আছে যে তার চার লাইনে সোশ্যাল মিডিয়া এতটা বুঁদ। অভিষেকের কবিতার লাইনগুলি এরকম।
আমি কি গাড়ি থামাতে এবং জরিমানা আদায় করতে পারি,
তাহলে অভিভাবকরা এই নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করবে।
এর জন্য বাচ্চাদেরও দেরি হয়ে যাবে।
তবে তাদের জরিমানা করলেই শিক্ষা পাবে।
কবিতার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে চারজন স্কুলপড়ুয়াকে নিয়ে বাইক চালাচ্ছেন এক ব্যক্তি। একমাত্র চালকের মাথাতেই রয়েছে হেলমেট। বাকিদের এসবের বালাই নেই। অবাধ্য বাইক আরোহীদের বোধদয়ের জন্য বেঙ্গালুরু ট্রাফিক পুলিশের সচেতনতামূলক প্রচার অনেকেরই নজর কেড়েছে। এর জন্য বেঙ্গালুরু পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছে। চালকদের হুঁশ ফেরাতে তাদের এই কর্মসূচি কিছুটা হলেও সাফল্যের মুখ দেখেছে।
[ভুল করে মহিলাদের শৌচাগারে রাহুল গান্ধী, নেটিজেনদের বিদ্রুপ]
সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের আরেক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে একটি বাইকে করে পাঁচজনকে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক আরোহী। কারও মাথায় হেলমেট নেই। চালকের এই কাণ্ড দেখে হাতজোড় করে কার্যত ক্ষমা চেয়ে নেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মী। আসলে ওই পুলিশকর্মী কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার মতো অবস্থাতে ছিলেন না। কর্নাটকে সম্প্রতি এক বাইক আরোহীকে হেলমেটহীন অবস্থায় ধরেছিল পুলিশ। পরে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক এর আগে চারবার একই ধরনের অপরাধ করেছে। সুতরাং জরিমানা, শাস্তি দিয়ে এদের সামলানো সত্যিই মুশকিল। অতএব গান্ধীগিরি, কবিতার আশ্রয়।
The post হেলমেট নেই, হুঁশ ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের দাওয়াই কবিতা appeared first on Sangbad Pratidin.