সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সবে মিলে করি কাজ…।’ এই মন্ত্রেই ফেডারেশন সভাপতি হিসেবে কাজ করতে চান কল্যাণ চৌবে। নির্বাচনে বাইচুং ভুটিয়াকে হারানোর পর প্রাক্তন গোলকিপার জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে সমস্ত রাজ্য সংস্থা এবং প্রাক্তন ফুটবলারদের পাশে চান তিনি।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ। একেবারে একপেশে লড়াইয়ে বাইচুংকে ৩৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ মসনদে বসলেন তিনি। তারপরই জানালেন, আগামী দিনে কীভাবে এগোতে চান। ফেডারেশনের কার্যপদ্ধতি, বিভিন্ন ইস্যুতে ঢিলেমি নিয়ে অতীতে বারবার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কর্মকর্তাদের। সেসব সমালোচনায় ইতি টেনে এবার নতুন উদ্যোমে কাজ করতে চান বিজেপি নেতা কল্যাণ। বলেন, “অল্পদিনের জন্য় পরিকল্পনা করে কাজ করব। চলতি মাসেই কলকাতায় যাব।”
[আরও পড়ুন: কয়লা নয়, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কেলেঙ্কারি, অমিত শাহ সবচেয়ে বড় পাপ্পু, বললেন অভিষেক]
চৌবে (Kalyan Chaubey) সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এনএ হ্যারিস। কোষাধ্যক্ষ হলেন কিপা অজয়। পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ কমিটিতে রয়েছেন মোট ২০জন সদস্য। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন রাজ্য সংস্থার কর্মকর্তা এবং কো-অপ্ট সদস্য হিসেবে থাকছেন ৬ জন প্রাক্তন ফুটবলার। সেই তালিকায় রাখা হয়েছে বাইচুং (Bhaichung Bhutia), আইএম বিজয়ন, সাবির ও ক্লাইম্যাক্স লরেন্সকে। রয়েছেন দুই প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার পিংকি বোমপাল মাগার ও থোংগাম থাবাবি দেবী। কল্যাণের কথায়, “ভারতীয় ফুটবল বর্তমানে একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এই সমস্যা দূর করতে ফুটবলারদেরও পাশে চাই। প্রতিটা রাজ্যের কী প্রয়োজন, তা আলাদা করে বুঝতে হবে। ভারতীয় ফুটবল কোন পথে এগোবে, ১০০ দিন পর তা নিয়ে একটা রোড ম্যাপ সামনে আনা হবে।” মাঠের বাইরের লড়াইয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুংকে তিনি হারিয়েছেন ঠিকই, তবে ফুটবলের সার্বিক উন্নতিতে তাঁর মতামতও নিতে চান কল্যাণ। বলেন, “ভারতীয় ফুটবলে বাইচুংয়ের অবদান অনস্বীকার্য। অন্যদের মতো ওর মতামতও বিবেচনা করে দেখা হবে।”
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ফিফার তরফে ফোন পেয়েছেন। সে কথাও জানালেন কল্যাণ চৌবে। বলেন, “ফিফা প্রেসিডেন্ট ফোন করেছিলেন। চলতি বছরের শেষের দিকে দোহা অথবা জুরিখে আমার সঙ্গে দেখা করবেন বলেছেন। তাঁকে জানিয়েছি, আগামী কয়েকটা দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বও আছে। তারপর তাঁর কাছে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাব।”