সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা-সহ ১০টি রোগের ভ্যাকসিন বানানোর জন্য এবার ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে কারখানা খুলছে ভারত বায়োটক। একথাই জানা গেল নবীন পট্টনায়েকের প্রশাসনের তরফে।
শুক্রবার এই বিষয়ে ওড়িশার মুখ্যসচিব অসিত ত্রিপাঠীর সঙ্গে একটি ভারচুয়াল মিটিং করেন দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডায়রেক্টর ডা. কৃষ্ণা এল্লা (Dr. Krishna Ella)। এরপরই এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ভারত বায়োটেক একটি কারখানা খুলছে। তাতে কোভ্যাক্সিন (Covaxin)-সহ রোটাভাইরাস ডায়ারিয়া, ম্যালেরিয়া, জাপানিজ এনসেফেলাইটিস, রেবিস, প্যানাডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা-সহ মোট ১০টি রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। এর জন্য মোট ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে এবং সবথেকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
[আরও পড়ুন: বিহারে পরিবর্তনের ইঙ্গিত! মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে পারেন লালুপুত্র তেজস্বী ]
এপ্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যসচিব অসিত ত্রিপাঠী বলেন,’ ভুবনেশ্বরের অন্ধরুয়া (Andharua) এলাকায় থাকা বায়োটেক পার্কে ওই কারখানাটি তৈরি করা হবে। এর জন্য ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (BBIL) -কে সমস্ত রকম সাহায্য করবে ওড়িশা সরকার। আশা করা হচ্ছে ১৫ দিনের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হবে। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি করতে সমর্থ হবে সংস্থাটি। এর পাশাপাশি তাদের কাছে ইনকিউবেশন স্টেন্টার ও আইটি করিডর তৈরির কথাও বলা হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে যে কোনও প্রয়োজনে স্থানীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করার জন্যও।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে অবস্থিত এই কোম্পানিটি। ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির অনুমোদন পাওয়া গেলেই আগামী বছরের প্রথমদিকে তারা করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে সক্ষম হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। আর ওড়িশায় কারখানা খুললেও উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া সহজে পাওয়া যাবে অন্য ৯টি রোগের ভ্যাকসিনও।