সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। কিছুদিন আগেই সেখানে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে জিএসটি-র প্রকৃতি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে দেদার হইচই। তা থামতে না থামতে ফের বিতর্ক। এবার প্রশ্নপত্রে তিন তালাক, নিকাহ হালালার মতো বিষয় উঠে এল। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ইচ্ছে করেই বিশেষ এক রাজনৈতিক মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
[ ব্রহ্মপুত্রের জল আচমকা কালচে, চিনের ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে ভারত ]
ইসলামে হালাল কী? ইসলামের তিন তালাক এক সামাজিক ব্যাধি- ব্যাখ্যা করে। স্নাতকোত্তর ইতিহাস পরীক্ষায় ঠিক এরকমই প্রশ্ন হাতে পেয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাতে বেশ ক্ষিপ্তই হয়ে ওঠেন তাঁরা। এক বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য তাঁদের উপর চাপিয়ে দিতেই এ ধরনের প্রশ্ন করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ। বিকাশ নামে এক পড়ুয়া অভিযোগ করে বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের প্রশ্নে আপত্তিকর কিছু পায়নি। কিন্তু আমার যথেষ্ট আপত্তিকর লেগেছে।” এর আগে পলিটিক্যাল সায়েন্সের পরীক্ষায় কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে জিএসটি-র প্রকৃতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার সাফাইও দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। যে অধ্যাপক প্রশ্ন তৈরি করেছিলেন তিনি জানিয়েছিলেন, “এটা কোনও রাজনীতি নয়। কৌটিল্যের ভাবনা অনেক সুদূপ্রসারী ছিল। জিএসটি-র প্রাথমিক ধারণা সেখানে ছিল। ছাত্রদের তা জানা উচিত।”
[ মোদি কিচ্ছু করতে পারবেন না, হুমকি দিয়ে স্ত্রীকে তিন তালাক ]
ইতিহাসের প্রশ্নপত্র নিয়ে অভিযোগ উঠতেও একই জবাব অধ্যাপকদের। জানানো হয়েছে, “ইসলামিক ইতিহাস তো পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। তাহলে এই প্রসঙ্গগুলো থাকবে না কেন?” ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব শ্রীবাস্তবের প্রশ্ন, “ছাত্ররা যদি এই ধরনের বিষয় না পড়ে, তাদের যদি না পড়ানো হয়, তাহলে এ সম্পর্কে তাঁরা জানবেই বা কী করে? মধ্যযুগের ইতিহাস যখন পড়ানো হয়, তখন এই ধরনের বিষয় তো আসবেই।” তাঁর দাবি, ইতিহাস যখন পড়ানো হয়, তখন এগুলোও পড়ানো হবে। টিপ্পনি কেটে তিনি বলেন, “সঞ্জয় লীলা বনশালির মতো মানুষ তো আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়াতে আসবেন না!” যদিও এ সত্ত্বেও ক্ষোভ কমেনি ছাত্রদের। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতেই প্রশ্নপত্র তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগে অনড় তাঁরা।
[ বিমানে ‘শ্লীলতাহানি’র শিকার, চোখে জল অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমের ]
The post প্রশ্নপত্রে তিন তালাক-নিকাহ হালালা, রাজনৈতিক মতাদর্শ চাপানোর অভিযোগ পড়ুয়াদের appeared first on Sangbad Pratidin.