shono
Advertisement

Breaking News

ইয়াকুব মেমনের সমব্যথীদের তুলোধোনা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

অভিযুক্ত নয়, বরং আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান, আবেদন খেহরের...
Posted: 03:54 PM Mar 18, 2017Updated: 10:24 AM Mar 18, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির নির্দেশে অসন্তুষ্ট হয়ে যারা দেশের ভিতরেই ‘… মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান তুলেছিল, নাম না করে এদিন তাদের নিশানা করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জগদিশ সিং খেহর৷ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট মোতাবেক, খেহর এদিন ইয়াকুবের মতো দাগী আসামী ও নৃশংস জঙ্গিকে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখানোর বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন৷ বরং, যাঁরা ওই জঙ্গির জন্য প্রাণ হারিয়েছেন, সেই আক্রান্তদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খেহর৷ পাশাপাশি, আইনজীবীদেরও আবেদন জানিয়েছেন, বোমা বিস্ফোরণ, ধর্ষণ ও অ্যাসিড আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি সাহায্য করতে৷

Advertisement

[OMG! ভারতের ৬০% ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াই বেকার]

এই প্রথম দেশের সাংবিধানিক প্রধান খেহর জঙ্গি মেমনের নাম না করে তার ফাঁসির ইস্যুতে মুখ খুললেন৷ যারা মেমনকে সহানুভূতি দেখায়, তাদের কড়া বার্তা দিলেন৷ খেহরের মতে, ইয়াকুবের মতো জঙ্গি ক্ষমা নয়, চরম সাজার যোগ্য৷ খেহর জানিয়েছেন, জঙ্গি-ধর্ষকরা কোনও ক্ষমার যোগ্য নয়৷ সহানুভূতি দেখাতে হলে আক্রান্তদের দেখান৷ ১৯৯৩-এ মুম্বই বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্যু হয়৷ ওই হামলার মূলচক্রীদের অন্যতম ছিল ইয়াকুব৷ এই অভিযোগে প্রায় ২০ বছর জেলে কাটানোর পর ২০১৫-র ৩০ জুলাই মেমনকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ মেমন একের পর এক সাজা মকুবের আর্জি জানিয়েছে, প্রতিবারই সুপ্রিম কোর্ট সেই আরজি নাকচ করে দিয়েছে৷ এমনকী, রাষ্ট্রপতিও মেমনের সাজা মকুব করেনি৷ কিন্তু সেই মেমনকে নিয়েই যখন দেশের গুটিকয়েক মানুষ আন্দোলন করে, দেখে তাঁর মন ব্যথিত হয় বলে ইঙ্গিত দেন খেহর৷ যারা মেমনকে ক্ষমা করে দিতে বলছিলেন, তাদের তুলোধোনা করে খেহর জানিয়েছেন, জঙ্গিরা চূড়ান্ত সাজার যোগ্য৷ ধর্ষকদের প্রতিও একই বিচার হবে৷ খেহরের বক্তব্য, “বরং সহানুভূতি দেখান আক্রান্তদের৷” তাঁর বক্তব্য, “আমাদের দেশ আজব৷ যত বড় অপরাধী, তার তত বেশি প্রভাব৷ কল্পনা করুন, যাঁরা তাঁদের আপনজনদের হারিয়েছেন! যাঁরা অ্যাসিড আক্রান্ত হওয়ায় সমাজে মুখ দেখাতে পারেন না, তাঁদের কী হবে?”

[নারদ কাণ্ডের তদন্তে এল স্পেশাল সিবিআই টিম, নিল ফুটেজ]

ইয়াকুব মেমন, আফজল গুরু, মকবুল ভাটের মতো জঙ্গিদের ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন অরুন্ধতী রায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা৷ দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকী কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও মেমনের ফাঁসি বিচারের নাম প্রহসন বলে স্লোগান উঠেছিল৷ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থাও মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করে৷ জেএনইউ, যাদবপুরে স্লোগান ওঠে, ‘হাম মাঙ্গে আজাদি, কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি৷’ এমনকী, বেশ কয়েকটি প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম দাবি করে, মেমন, আফজলের ফাঁসির বিরুদ্ধে জেএনইউ, যাদবপুরে দেশবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়৷ সলমন খান, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু, রাম জেঠমালানি, আসাদউদ্দিন ওয়েসির মতো ব্যক্তিরাও মেমনকে চরম সাজা দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ২০১৫-র জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠিও জমা দেন৷ কিন্তু কোনও আবেদনই কাজে আসেনি৷ নাগপুর জেলে সকাল ৭টায় ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ফাঁসির প্রক্রিয়া শেষ হয়। ইয়াকুবের মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। ফাঁসির ভিডিও রেকর্ডিংও করা হয়৷ ময়নাতদন্তের পর দেহ নিতে নাগপুর জেলে পৌঁছন ইয়াকুবের দুই ভাই উসমান ও সুলেমান। তাঁদের হাতেই দেহ তুলে দেওয়া হয়।

[নিরাপত্তার গাফিলতিতে বিপাকে ২৯ লক্ষ ডেবিট কার্ডের মালিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement