সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যাদুর্গত রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েও কীভাবে ছবি দেখতে গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সুশীল মোদি৷ এক ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘একটা মানুষ একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারেন, তাই বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের পাশাপাশি ছবিও দেখতে গিয়েছিলাম৷’’
[ আরও পড়ুন: ‘আজকের মধ্যে আস্থা ভোট করুন’, কুমারস্বামীকে ফের চিঠি রাজ্যপালের]
বিহারের বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি৷ এখনও জলের তলায় গ্রামের পর গ্রাম৷ প্রাণহানিও লেগেই রয়েছে৷ অস্তিত্ব সংকটে ব্যর্থ হয়ে প্রাণ গিয়েছে এক শিশুর৷ যার ভাসমান মরদেহের ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় চোখে জল নেটিজেনদের৷ তারই মাঝে সিনেমা হলে বসে হৃতিক রোশন অভিনীত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সুপার ৩০’ ছবি দেখতে দেখা গিয়েছিল বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদিকে৷ বন্যাদুর্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে নিশ্চিন্তে সিনেমা দেখে সময় কাটাতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সকলেই৷
এই বিতর্কের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তার জবাব দিলেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি স্বয়ং৷ তিনি বলেন, ‘‘একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যম আমার সম্পর্কে ভুল খবর প্রচার করেছে৷ আমার সিনেমা দেখতে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ সিনেমা নাকি বন্যাকে বেশি গুরুত্ব দিই আমি, সেই প্রশ্নই তুলেছে ওই সংবাদমাধ্যম৷ তাদের বলতে চাই, একটা মানুষ একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারেন৷ বন্যাদুর্গতদের দিকেও যেমন নজর রেখেছি, ঠিক সেরকমই সিনেমাও দেখতে গিয়েছি৷’’
[ আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী আজম খান জমি মাফিয়া, ঘোষণা যোগী প্রশাসনের]
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘‘বিহারের শিক্ষক আনন্দ কুমারের জীবনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘সুপার ৩০’৷ তাই প্রত্যেক বিহারবাসীর উচিত এই ছবিটি দেখা৷ একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসাবে সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম৷’’ সুশীল মোদির এই মন্তব্যের পরেও বিতর্কের শেষ নেই৷ অনেকের দাবি, বিপাকে পড়ে নাকি এমন ভুলভাল সাফাই দিচ্ছেন সুশীল মোদি৷ প্রতি বছরই বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় বিহারবাসীকে৷ তা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ৷ যে রাজ্যে বন্যায় অর্জুনের মতো দুধের শিশুর মৃত্যু হয়, সেখানে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কোনও যুক্তিই কাজে লাগে না বলেও দাবি অনেকের৷
The post আগে দুর্গতদের সাহায্য-পরে সিনেমা দেখা, ‘সুপার ৩০’ নিয়ে বিতর্কের মাঝে জবাব সুশীল মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.