সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়? বব ডিলানের গানের অনুবাদে করা কবীর সুমনের বিখ্যাত গানের পঙক্তিই যেন ফিরে এল বিহারের এক প্রৌঢ়ের সাইকেলের চাকায় ভেসে। ১১ দিন ধরে সাইকেল চালিয়ে বিহার (Bihar) থেকে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন ৬০ বছরের সত্যদেব মাঝি। গতকালই তিনি যোগ দিয়েছেন টিকরির কৃষক আন্দোলনে (Farmers’ protest)। জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন আন্দোলন চলবে তিনি থাকবেন এখানেই।
সরকারের কাছে নতুন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের আরজিও জানিয়েছেন সত্যদেব। কথা বলেছেন সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বাড়ি সিওয়ান জেলায়। সেখান থেকে এখানে পৌঁছতে আমার ১১ দিন লেগেছে। আমার সরকারের কাছে আরজি, নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।’’
[আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে নওয়াজ শরিফকে চিঠি মোদির! কূটনৈতিক মহলে জল্পনা]
সারা দেশ থেকেই সত্যদেব মাঝির মতো অসংখ্য কৃষক নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন দিল্লি সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে চলতে থাকা আন্দোলনে। শুক্রবার কৃষক আন্দোলন পা দিয়েছে ২৩ দিনে। তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রবল শৈত্য ও অন্যান্য প্রতিকূলতার সঙ্গে নিজেদের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন কৃষকরা। ‘কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি’-র তরফে কৃষক নেতা দয়াল সিং পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়া। ওই আইনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই আমরা চালিয়ে যাব।’’
ক্রমেই যেন শক্ত হচ্ছে আন্দোলনের ভিত। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিও (BJP) পালটা প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করেছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই আইন সম্পর্কে বিরোধীরা ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে। তাই সকলকে আইনটি সম্পর্কে জানাতে প্রচারের পরিকল্পনা। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যতদিন না জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির মতো ঘটনা ঘটছে ততক্ষণ আন্দোলনে আপত্তির কিছু নেই।