সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) ‘নীতি’ বদল। এবং বিহারের রাজনীতির রংবদল নিয়ে তেমন খুশি নন ভোটকুশলী তথা বিহারের রাজনীতির অন্যতম মুখ প্রশান্ত কিশোর। তিনি মনে করছেন, নতুন এই মহাজোটের সাফল্যের উপর নির্ভর করছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের ভাগ্য।
২০১৫ সালে বিহারে যে বিজেপি (BJP) বিরোধী মহাজোট তৈরি হয়েছিল, তার অন্যতম কারিগর ছিলেন এই প্রশান্ত কিশোরই। মূলত তাঁর উদ্যোগেই দীর্ঘদিনের দূরত্ব ঘুচিয়ে কাছাকাছি আসেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লালুপ্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমার। আবারও বিজেপির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে দুই শিবির। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) বলছেন, সেবারের মহাজোট আর এবারের মহাজোট এক নয়। কারণ সেবারের মহাজোটে মানুষের সমর্থন ছিল। সেই সরকার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল। এবারে তেমন নয়।
[আরও পড়ুন: পতাকা না কিনলে মিলছে না রেশন! ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ বরুণ গান্ধীর]
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পিকে বলেছেন,”২০১৫ সালের মহাজোটে মানুষের রায় ছিল। এবার সেটা নেই। এবারের জনমত ছিল এনডিএর (NDA) পক্ষে। আমি বলছি না যে এটা সুযোগসন্ধানী জোট। শুধু তথ্যগুলি বলছি। ৭ দলের জোট হয়েছে, শুধু জনমত নেওয়া হয়নি। এবারের এই মহাজোট গঠনের প্রভাব বিহারের বাইরেও পড়বে।” পিকে সাফ বলে দিচ্ছেন, এবারের এই সরকার যদি সফল হয়, তাহলে এটা বড় শক্তি হতে চলেছে। কিন্তু যদি ভালভাবে শাসন করতে না পারে, প্রতিশ্রুতি পালন করতে না পারে, তাহলে সেটার প্রভাব পড়বে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও।
[আরও পড়ুন: ‘পথের কাঁটা’ বাবা-মাকে প্রেসার কুকার-হাতুড়ি দিয়ে খুন! গ্রেপ্তার নাবালিকা ও ৩৭ বছরের প্রেমিক]
এরপরই নীতীশকে খানিক কটাক্ষ করে প্রশান্ত বলেন,”২০১৩-১৪ সালের পর এই নিয়ে বিহারে ৬ রকম সরকার গঠনের চেষ্টা হল। যখনই কারও প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক প্রত্যাশা পূরণ হয় না, তখনই নতুন সরকার গঠিত হয়। নীতীশ বলছেন, এবার তিনি নতুন সূচনা করতে চান। আশা করি এবার তিনি বিহারের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন।” পিকের (PK) সাফ কথা, গত দশকে বিহারে রাজনৈতিক অস্থিরতার মূল চরিত্র এই নীতীশ কুমারই। একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে শুধু আশা করা যায় যে নীতীশ এবার অন্তত দৃঢ়ভাবে জোটধর্ম পালন করবেন।