সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনের নির্বাচন ঘিরে ছিল যাবতীয় কৌতুহল। এই অবস্থায় বামপ্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্যের মনোনয়ন বাতিলের জোরাল সম্ভাবনা তৈরি হল। বামপন্থী প্রার্থী অসম্পূর্ণ মনোনয়ন জমা দেন। পাশাপাশি তিনি একেবারে শেষ মুহূর্তে বিধানসভায় যান। বিকাশের মনোনয়ন বাতিল হলে কোনও বামপন্থী প্রার্থীর ক্ষেত্রে এধরনের ঘটনা বেনজির হতে চলেছে। হার অনিবার্য বুঝতে পেরেই কি বামপন্থী প্রার্থী বিকাশ লড়াই থেকে কার্যত সরে দাঁড়ান। নাকি পলিটব্যুরোকে বার্তা দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে মনোনয়ন বাতিল করে কংগ্রেসকে সমর্থন। আলিমুদ্দিনের এই কৌশল নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া।
[রাজ্যসভায় বামেদের প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য!]
কংগ্রেসের সঙ্গে কথা চালিয়ে গিয়েও প্রার্থী ঠিক করা যায়নি। শেষবেলায় কোনওরকমে বিকাশ ভট্টাচার্যর নাম ঘোষণা করে বামপন্থীরা। রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শুরু থেকেই বামপন্থীদের গা ছাড়া ভাব দেখা যায়। শুক্রবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিকেল তিনটে ছিল ডেডলাইন। প্রায় তিনটে নাগাদ বিধানসভায় রিটার্নিং অফিসার জয়ন্ত পালের কাছে অশোক ভট্টাচার্য মনোনয়ন জমা দেন। তা নিয়ে একপ্রস্থ বিতর্ক হয়। এবার মনোনয়নের সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত হলফনামা নেওয়া হয়। রিটার্নিং অফিসার তা চেয়েছিলেন বিকাশের কাছে। অতিরিক্ত হলফনামায় কী কী সরকারি সম্পত্তি রয়েছে তা জানাতে হয়। বিকাশ ফিরে গিয়ে ফের ওইসব কাগজ নিয়ে আসেন। টাইপিংয়ের জন্য তাঁর দেরী হয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটা তিনটে পেরিয়ে যায়। রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত হলফনামা নিতে অস্বীকার করেন। এই নিয়ে বাম প্রার্থী ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের দীর্ঘক্ষণ বাদানুবাদ চলে। বিধানসভার সচিব এবং রিটার্নিং অফিসার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় বামপ্রার্থীর অতিরিক্ত হলফনামা জমা নেওয়া যাবে না। শনিবার রাজ্যসভা নির্বাচনে সাত প্রার্থীর মনোনয়ন স্ক্রুটিনি হওয়ার কথা। বিকাশের মনোনয়ন বাতিল হলে আর ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়বে না। বিনা লড়াইয়ে পাঁচ তৃণমূল ও এক কংগ্রেস প্রার্থী জিতে যাবেন।
[প্রদীপ ভট্টাচার্যকে সমর্থন তৃণমূলের, রাজ্যসভার ভোটে নয়া সমীকরণ]
মাত্র ২ মিনিট আগে রিটার্নিং অফিসারের ঘরে ঢোকা এবং অতিরিক্ত হলফনামার বিষয় না জানা। বিকাশ ভট্টাচার্যের মতো দুঁদে রাজনীতিক এবং আইনজীবী নিয়ম কেন জানতেন না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিকাশের সঙ্গে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, রবিন দেবের মতো সিপিএম নেতারা। তাঁরাও কেন এই ভুল করলেন, নাকি এটি আলিমুদ্দিনের চাল নিয়ে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রার্থী না করায় ক্ষুব্ধ ছিল বেঙ্গল লাইন। পলিটব্যুরোকে বার্তা দিতে আলিমুদ্দিন কি ইচ্ছাকৃতভাবে বিকাশের মনোনয়নে ভুল করল। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
The post রাজ্যসভার ভোটে বিকাশ ভট্টাচার্যর মনোনয়ন বাতিল! appeared first on Sangbad Pratidin.