shono
Advertisement

দু’ঘণ্টায় পাঁচ পেগ মদ! জানেন কী বিপদ ডেকে আনছেন?

বিশ্বাস না হলে আবার পড়ুন! The post দু’ঘণ্টায় পাঁচ পেগ মদ! জানেন কী বিপদ ডেকে আনছেন? appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 01:06 PM Feb 28, 2018Updated: 01:43 PM Feb 28, 2018

গৌতম ব্রহ্ম: দু’ঘণ্টায় পাঁচ পেগ! এই অনুপাতে মদ খেলে মৃত্যুঘণ্টা বাজতে পারে যে কোনও মানুষের। এর জন্য হৃদরোগী হওয়ার দরকার নেই! মেয়েদের ক্ষেত্রে অনুপাতটা আরও কম। দু’ঘণ্টায় চার পেগ! বিশ্বাস না হলে আবার পড়ুন!

Advertisement

মদ্যপানের গতি বেশি হলেই বিপদ। হৃদযন্ত্র স্তব্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেটে কী লেখা হবে জানেন? ‘হলিডে হার্ট সিন্ড্রোম’। রোগের নামেই লুকিয়ে রোগের উৎস ও চরিত্র। ঘুরতে গিয়ে বহু মানুষ আকন্ঠ মদ্যপান করে ‘হলিডে’ উদযাপন করেন। এই নেশাতুর সেলিব্রেশনেই লুকিয়ে সর্বনাশের বীজ। এমনটাই জানাচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, ঘুরতে গিয়ে অনেকেই মদে ডুবে যান। কম সময়ে যে বেশি মদ খেতে পারেন তাঁকে নিয়ে তত বেশি চর্চা। বাহবা কুড়োতে গিয়ে অনেকেই দ্রুত মদ খেয়ে ফেলেন। কেউ আবার কষ্ট-দুঃখ-যন্ত্রণা ভুলতে গলা পর্যন্ত মদ খান।

[এক বালতি জলে ডুবেও হতে পারে মৃত্যু! কী বলছেন চিকিৎসকরা ?]

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুনীলবরণ রায় জানালেন, “মদ খাওয়া খারাপ নয়। বরং দৈনিক ৬০ মিলি মদ খেলে রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। যা হার্টের পক্ষে ভাল। কিন্তু এর বেশি কেউ যদি অভ্যাস করেন তবে হার্টের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। অনেকের মদ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এঁদের স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।” এই বিপজ্জনক প্রবণতা প্রাণঘাতীও হতে পারে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর তাই ফের ভেসে উঠেছে ‘হলিডে হার্ট সিনড্রোম’-এর প্রসঙ্গ। ডাক্তাররাও মদ খাওয়া নিয়ে সতর্ক করছেন। তাঁদের মত, কম সময়ে অতিরিক্ত মদ খাওয়া হলে হার্টের ‘ইলেকট্রিক্যাল’ ও ‘পাম্পিং’ ভারসাম্য নষ্ট হয়। উপরের প্রকোষ্ঠ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ‘অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন’ দেখা দিতে পারে। শুরু হয় বুক ধড়ফড়। হার্টের গতি বেড়ে যায়, ঘন হয়ে আসে শ্বাস, শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্ট। কারও আবার মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। মূত্রত্যাগের সময় অনুভূত হয় তীব্র জ্বালা।

বেশিরভাগ সময়ই নেশা কেটে গেলে হার্ট স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। না হলে কিন্তু বিপদ। মৃত্যুও হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মদ্যপানের পর বুক ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণা বা শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। না কমলে ‘শক থেরাপি’ দেওয়া যেতে পারে। এমনটাই জানালেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস। হার্টের উপর মদ্যপানের প্রভাব দেখতে ১৯৭৮ সালে একটি সমীক্ষা হয়। ২৪ জন মানুষ ঘুরতে গিয়ে আকন্ঠ মদ খান। যাকে ‘বিঞ্জ ড্রিঙ্কিং’ বলা হয়। এঁদের কারও হৃদরোগের ইতিহাস ছিল না। কিন্তু মদ্যপানের পর অনেকের বুক ধড়ফড় শুরু হয়। সেই থেকেই এই রোগের নাম ‘হলিডে হার্ট সিনড্রোম’ রাখা হয়। বিশেষজ্ঞদের মত, মদ খেলে রক্তের পিএইচ ব্যালান্স নষ্ট হয়। তাতেই সমস্যা। দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা বেশি হলেও এই রোগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য অ্যাড্রিনালিন দায়ী হবে। অতএব সাবধান। সামনেই দোল। উৎসবের মৌতাতে দ্রুত মদ্যপান করলেই বিপদ।

[দোলে রং মাখুন আনন্দে, তবে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন]

The post দু’ঘণ্টায় পাঁচ পেগ মদ! জানেন কী বিপদ ডেকে আনছেন? appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার